কর্মজীবনের শুরুতে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে বাবার হোটেলে কাজ করতেন শ্যাম ঘোষ। পরে বিভিন্ন সোনার দোকানে চাকরি করে নিজেই ব্যবসায়ী হয়ে যান। আয়ের উৎস গোপন করতে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা সোনা বিক্রি শুরু করে গড়তে থাকেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। নিজের নামে এককভাবে ও ভাইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন শপিং মলে দোকান, ফ্ল্যাট ও রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলেন। কিন্তু অবৈধভাবে অর্জিত এসব সম্পত্তি ভোগ করতে পারলেন না। কারণ শ্যাম ঘোষের নামে থাকা ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তি ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
গতকাল সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, সোনা চোরাকারবারের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শ্যাম ঘোষের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি ডিএমপি কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। তদন্তে উঠে এসেছে, সোনা চোরাকারবারের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে শ্যাম ঘোষ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট ও দোকান কিনেছেন। এর মধ্যে রয়েছে যমুনা ফিউচার পার্কের ষষ্ঠ তলার সি ব্লকে তিনটি দোকান (নম্বর ৫সি-০৫৪, ৫সি-০৫৫, ৫সি-০৫৬) এবং ‘ইন্ডিয়ান ডোমেস্টিক স্পাই’ নামক রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটে ‘বাবুলী স্টার সিটি’ ভবনের পঞ্চম তলায় একটি ফ্ল্যাট (নম্বর ৪/সি) এবং স্বামীবাগের ‘স্বর্ণচাঁপা’ ভবনের ষষ্ঠ তলায় নিজ ও তার ভাইয়ের যৌথ মালিকানাধীন ফ্ল্যাট (নম্বর এ-৬) রয়েছে। ‘নন্দন জুয়েলার্স’ নামে সোনার দোকানও তার যৌথ মালিকানাধীন। সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র মহানগর স্পেশাল জজ ওই সম্পত্তির ওপর ক্রোকাদেশ দেন। ক্রোককৃত সম্পত্তি রক্ষণের জন্য ডিএমপি কমিশনারকে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। সিআইডি ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এ-সংক্রান্ত মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।