বালুমহালের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন সুনামগঞ্জের বালুমহাল ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা নাছির মিয়া। গতকাল বিকালে সুনামগঞ্জ শহরের পুরোনো বাসস্টেশন এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের দাগ দেখান তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি যাদুকাটা-১ বালুমহালের ইজারা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন নাছির। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে মহালটির ইজারা কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাছির বলেন, বুধবার আদালতের কাজ শেষে রিকশাযোগে হোটেলে আসার সময় সেগুনবাগিচার দুদুক কার্যালয়ের সামনে গেলে তার রিকশার গতিরোধ করেন ডিবি পুলিশের কয়েকজন সদস্য। এ সময় তাকে জোরপূর্বক মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে মারধর করেন ডিবির সদস্যরা।
যাদুকাটা-১ বালুমহাল ইজারা নেওয়ার কারণে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে সন্ধ্যায় যুবদলের সাবেক এক কেন্দ্রীয় নেতা তাকে নিজ জিম্মায় মুক্ত করে নেন। ঘটনার সঙ্গে ওই নেতার যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ডিবি পুলিশ বলছে, বিতর্কিত কর্মকর্তা ডিবি হারুনের ঘনিষ্ট ও একাধিক মামলার আসামি শাহ রুবেল নামে এক ইজারাদারকে আদালত এলাকায় ডিবি পুলিশ ধরতে গেলে তাকে পালাতে সহযোগিতা করেন নাছির। পরে জনতা নাছিরকে ধাওয়া দিলে তার প্রাণ বাঁচাতে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয় তাকে। পরে যুবদলের সাবেক এক কেন্দ্রীয় নেতার জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।