‘প্রথম আলোর খবর ৫৭ শতাংশ মানুষ পড়ে’- এমন একটি খবর প্রথম আলো প্রকাশ করেছে আজ। তাদের ওই প্রতিবেদন নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক। এ প্রতিবেদন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য জিমি আমির।
তার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘প্রথম আলোর খবর ৫৭ শতাংশ মানুষ পড়ে’। এমন একটি খবর প্রথম আলো প্রকাশ করেছে আজ। এই তথ্য ৪ মাস আগের। গত জানুয়ারি ১-৭ তারিখের মধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো দেশে ‘গণমাধ্যম বিষয়ে জাতীয় জনমত জরিপ-২০২৫’ পরিচালনা করে। সেই জরিপের তথ্য নিয়ে প্রথম আলো ৪ মাস পর এসে আবার কেনো রিপোর্ট প্রকাশ করলো তা অবাক হওয়ার মতোই ঘটনা বৈকি! আদতে ৪ মাস আগের রিপোর্ট নতুন খবর হতে পারে কিনা সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।
সূচিপত্র, মুখবন্ধ ও সংযুক্তি বাদ দিলে গণমাধ্যম কমিশন রিপোর্ট মূলত ১৬৪ পৃষ্ঠার। ৫৭ শতাংশ মানুষের জন্য তারা এই ১৬৪ পৃষ্ঠা প্রতিবেদনটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে পারতো। তারা বিশ্লেষণমূলক রিপোর্ট বা কলাম প্রকাশ করতে পারতো। তাহলে তাদের পক্ষ থেকে পাঠক, সাংবাদিকদের প্রতি কিছুটা দায়বদ্ধতা প্রকাশ পেতো। কিন্তু এসবের কিছুই না করে জরিপের একটি অংশ ব্যবহার করে ৪ মাস পর নিজেদের আধিপত্যই কি নতুন করে প্রকাশ করলো তারা? বাজারের ৫৭ শতাংশের অংশীদার হয়ে প্রথম আলোর কাছে আমার প্রত্যাশা ছিল সুষ্ঠু ইন্ডাষ্ট্রি গড়ে তোলার পক্ষে তাদের সহায়ক হয়ে ওঠা এবং সব সাংবাদিকের সুবিধা নিয়ে কথা বলা।
যাইহোক, আমি মনে করি এই একক আধিপত্যের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব হতে পারে অন্যদের সুষ্ঠু প্রতিযোগিতায় নেমে যাওয়া। তা না হলে পাঠকের পাশাপাশি সাংবাদিকতা যেমন বঞ্চিত হবে তেমনি গণতন্ত্র কখনোই শক্তিশালী হবে না।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত