পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত দুদকের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে-বাইরের দালালদের আনাগোনা, বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালদের দৌরাত্ম্য, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার রান্না ও মানসম্মত খাবার পরিবেশন না করা, হাসপাতালে ডাক্তারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেরিতে কর্মস্থলে আসা, ওষুধ বিতরণের স্টক রেজিস্টার ঠিক আছে কিনা, রোগীদের টেস্ট মেশিনগুলো চালু আছে কিনা—এসব বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়।
পরে এসব বিষয়ে স্বচ্ছতা ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়ে অভিযান শেষ করে দুদকের টিম।
পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল জানান, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ উপজেলার মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভর্তি রোগীদের খাবারের মান অত্যন্ত নিম্নমানের এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার রান্না করা হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালে চরম ডাক্তার সংকট রয়েছে।তিনি আরো জানান, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট ও জিয়াউল হাসান।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান জানান, হাসপাতালে ৩১ জন চিকিৎসকের মধ্যে বর্তমানে মাত্র একজন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। মেডিকেল অফিসার, কনসালটেন্ট, গাইনি ও শিশু বিশেষজ্ঞ কোনো ডাক্তার নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার এ বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। ডাক্তার সংকট নিরসন না হলে কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব হবে না।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল