দেশি ফল পেয়ারা শুধু স্বাদেই অনন্য নয়, স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকেও একাধিক গুণে ভরপুর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত পেয়ারা খেলে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। এতে ক্যালোরি কম, ফাইবার বেশি এবং রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
অনেকেই স্ট্রবেরি, কিউয়ি বা অ্যাভোকাডোর মতো দামি ফল দিয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করেন। অথচ সহজলভ্য দেশি পেয়ারা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে হতে পারে কার্যকরী এক উপায়।
কীভাবে পেয়ারা ওজন কমাতে সাহায্য করে?
'এশিয়ান-অস্ট্রেলিয়ান জার্নাল অফ অ্যানিমাল সায়েন্সেস'-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পেয়ারা খেলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়ে। এতে হজমশক্তি উন্নত হয় ও মেটাবলিজম বেড়ে যায়, যার ফলে বাড়তি ওজন ঝরতে শুরু করে।
এছাড়া পেয়ারা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এমনকি ডায়াবেটিস রোগীরাও নিশ্চিন্তে পেয়ারা খেতে পারেন, কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।
ওজন কমাতে পেয়ারা খাওয়ার উপায়
পেয়ারার ডিটক্স পানীয়
১টি পাকা পেয়ারা ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এক ইঞ্চি আদা ও কয়েকটি পুদিনা পাতা মিশিয়ে ২ লিটার পানিতে দিয়ে ফ্রিজে রাখুন অন্তত ২ ঘণ্টা (রাতভর রাখলে ভালো)। সারাদিন অল্প অল্প করে এই পানীয় পান করুন। তবে এটি খাওয়ার সময় চা-কফি কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পেয়ারার সালাদ
একটি পেয়ারা, কিছু শসা ও ক্যাপসিকাম ছোট করে কেটে একসঙ্গে মেশান। উপর থেকে সৈন্ধব লবণ ও পাতিলেবুর রস ছিটিয়ে নিলেই তৈরি স্বাস্থ্যকর পেয়ারা সালাদ। এটি ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারেন।
পেয়ারার স্মুদি
অর্ধেকটা পেয়ারা, সামান্য টক দই ও এক চামচ মধু ব্লেন্ড করে স্মুদি তৈরি করুন। চাইলে পুদিনা পাতা দিয়ে সাজাতে পারেন। সকালে খালি পেটে এই স্মুদি খাওয়া গেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়ে না।
পেয়ারা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে ওজন কমানো যেমন সহজ হয়, তেমনি বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। সহজলভ্য ও পুষ্টিকর এই দেশি ফল এখন আপনার ওজন কমানোর ডায়েটেও থাকতে পারে।
সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/মুসা