বিদেশে চাকরির ভিসা দেওয়ার নামে ১ কোটি ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের হোতা আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার লালমাটিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিআইডি বলছে, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কোনো অফিস, ট্রাভেল লাইসেন্স বা বৈধ অনুমোদন ছাড়া বিদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন এলাকার মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলছিল। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, আবদুল্লাহ ও তার চক্রের সদস্যরা প্রথমে বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে মিথ্যা আশ্বাস দেয়। পরে রাশিয়ায় চাকরি, ভিসা, বিমানের টিকিটসহ পাঠানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। এভাবে তারা একে একে ২৮ জন যাত্রীকে প্রস্তুত করে। যাত্রীরা যেন পুরো প্রক্রিয়াটি বৈধ মনে করে, সেজন্য চক্রটি পাসপোর্ট, ছবি, কাগজপত্র সংগ্রহ করে এবং অফিসে যাচাইয়ের নামে নানা রকম লোকদেখানো অভিনয় করে। এভাবে যাত্রীপ্রতি নির্ধারিত অর্থ নেওয়ার নামে তারা ধাপে ধাপে টাকা সংগ্রহ করে। গত ২ মার্চ থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত প্রতারক চক্রটি মোট ২৮ জনের কাছ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ২১ লাখের বেশি টাকা এবং আরও ১৬ লাখ টাকা নগদ গ্রহণ করে।
তিনি আরও জানান, পরবর্তী সময়ে ২৮ জন যাত্রী বনানী থানার সৈনিক ক্লাব, শিকদার প্লাজা অফিসে উপস্থিত হন। সেখানে তাদের হাতে রাশিয়ার ভিসা এবং বিমান টিকিট দেওয়া হয়। প্রথমে ভুক্তভোগীরা ভেবেছিলেন সবকিছু ঠিকঠাক হয়েছে এবং তারা বিদেশে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। কিন্তু দুই দিন পর অনলাইনে যাচাই করলে দেখা যায়, এসব কাগজপত্র সম্পূর্ণ জাল। পরে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে আসামিরা নানা অজুহাত দিয়ে সময়ক্ষেপণ করে এবং নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। উপায়ান্তর না পেয়ে ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন বনানী থানায় মামলা করেন। মামলাটির তদন্তভার সিআইডি নেওয়ার পর অভিযুক্ত আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে চেষ্টা চলছে।