গাজীপুরে এক বাসা থেকে গলা কাটা এক নারী পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তার পাশ থেকে গলা কাটা অবস্থায় তার স্বামীকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি থানাধীন বাইমাইলের নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একতা টাওয়ার ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রহিমা খাতুন (৩৮) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার বিনুটিয়া গ্রামের শাহজাহান সরকারের মেয়ে। তার স্বামী ইমরান হোসেনের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার আমতৈল গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় আট বছর আগে প্রথম স্বামী মামুনের সঙ্গে রহিমা খাতুনের ডিভোর্স হয়। পরে রহিমা ইমরানকে বিয়ে করেন। এটি উভয়ের দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর স্বামী ইমরান ও প্রথম সংসারের মেয়ে শারমিনকে (১৬) নিয়ে রহিমা গাজীপুরের বাইমাইল এলাকার একতা টাওয়ার ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে (সাবলেট) থাকতেন। তিনি আগে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
বর্তমানে বাসায় থাকতেন। মেয়ে শারমিন টিকটকসহ স্টুডিও মিউজিকের গান করেন। তারা জানান, মধ্যরাতে অজ্ঞাত কয়েক দুর্বৃত্ত ওই বাসায় প্রবেশ করে ইমরান ও তার পাশে শুয়ে থাকা স্ত্রী রহিমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রহিমা খাতুনের মৃত্যু হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানার ওসি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গুরুতর আহত ইমরানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নিহতের মেয়ে শারমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), সিআইডি, গাজীপুর মহানগর ডিবিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি তদন্ত চলছে।