সাভারে অবস্থিত দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছে। দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ২৫০ জনকে। সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষের জেরে এসব মামলা হয়। প্রশাসনিক ভবন ভাঙচুর ও বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সিটি ইউনিভার্সিটির পক্ষে মঙ্গলবার রাতে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন রেজিস্টার প্রফেসর মীর আকতার হোসেন ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির পক্ষে মামলা করেন সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আফতাব উদ্দিন আহম্মেদ খান। গতকাল দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞা।
এদিকে ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের গঠিত ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গতকাল সরেজমিন তদন্ত কাজ শুরু করেছে। এ সময় তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ঘটনার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশপাশের এলাকায় সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে বহিরাগত জড়িত আছে কি না বা অন্য কোনো দলের লোকজন জড়িত আছে কি না- সেই বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা যায়, সিটি ইউনিভার্সিটির পক্ষে দায়ের করা মমালায় দুষ্কৃতি, রাহাজানি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে ফাহাদ নামে একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এতে হামলা, মারধর, হোস্টেলের সম্পদ ভাঙচুর, ছাত্রদের আটকে রেখে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক বক্তব্য আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মডেল থানার ওসি।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য নুরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরে মধ্যে রাতে ওই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটির ভিতরে ঢুকে প্রশাসনিক ভবন ভাঙচুর ও বাসে অগ্নিসংযোগ করে। ঘটনাটি তদন্ত করতেই এখানে এসেছি। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসবে। নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।