আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট শক্তি মোকাবিলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পরাজিত ফ্যাসিস্ট, তাদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরাও আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সক্ষমতা অর্জন পুলিশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পুলিশ থানা ছেড়ে চলে গিয়েছিল। এক বছরে বাহিনীকে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসা ছিল চ্যালেঞ্জের। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সক্ষমতা অর্জন করতে চাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস, পারব। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
মোহাম্মদপুর-আদাবরের শীর্ষ সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যর্থ, সেখানে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সক্ষমতা পুলিশের আছে কি না- জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, সক্ষমতা অবশ্যই আছে। মোহাম্মদপুর-আদাবরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। বিপুলসংখ্যক অল্প বয়সি অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে নিবর্তনমূলক আটক আদেশ দেওয়ার কথা ভাবছি।
পুলিশের সাবেক আইজিপিরা বলছেন, বর্তমানে মাঠপর্যায়ে থাকা পুলিশ সদস্য দিয়ে নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধ সম্ভব নয়। নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ কতটা সক্ষম- জানতে চাইলে পুলিশপ্রধান বলেন, আপনারা যত যা-ই বলেন, আমরা (পুলিশ) সক্ষম। বাহিনীর ১ লাখ ৫০ হাজার সদস্যকে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। একসঙ্গে এত পরিমাণ পুলিশ সদস্যের প্রশিক্ষণ আগে কখনো দেওয়া হয়নি। প্রশিক্ষণে হাতে-কলমে তাদের নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ, ভোটিং, নির্বাচন কেন্দ্রের বিধিবিধান শেখানো হবে। পাহাড়ে সাম্প্রতিক অশান্তির বিষয়ে আইজিপি বলেন, পাহাড়ে ধর্ষণের ঘটনা দিয়ে শুরু। এ ক্ষেত্রে যার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, তাকে গ্রেপ্তার করা এবং মামলা হয়েছে। তার পরও একটি গোষ্ঠী বিষয়টিকে বড় ইস্যু বানানোর চেষ্টায় লিপ্ত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মামলার বিষয়ে আইজিপি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় ১ হাজার ৭৬০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫টি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
বাকি মামলাগুলোর তদন্ত চলমান। চার্জশিট দেওয়া ৫৫টির মধ্যে ১৮টি হত্যা মামলায় ১ হাজার ৯৪১ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ চার্জশিট দিয়েছে। অন্য ৩৭টি মামলায় ২ হাজার ১৮৫ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ প্রধান বাহারুল আলম বলেন, সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩-এ ধারা অনুযায়ী, পুলিশ রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ১৩৬ জনকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। আরও ২৩৬ জনের অব্যাহতির জন্য আবেদন পুলিশের বিবেচনায় রয়েছে।