রাজধানীর উত্তরায় বাসের ধাক্কায় আরমান মির্জা (২১) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোর সাড়ে ৪টায় উত্তরা জসীমউদ্দীন রোডে এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালের দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
ওই শিক্ষার্থীর খালা নাজনীন আক্তার জানান, উত্তরার নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল ও কলেজ থেকে গত বছর এইচএসসি পাস করেন আরমান। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব হাটিয়ালা গ্রামে। তাঁর বাবা আবু সুফিয়ান মির্জা। গতকাল ভোরে জসীমউদ্দীন রোড দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাস আরমানের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ঢামেক সূত্র জানায়, রবিবার রাতে আরমানের মা স্ট্রোক করেন। তাঁর মাকে প্রথমে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখান থেকে নিউরো সায়েন্সে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। পরে মাকে নিউরো সায়েন্সের উদ্দেশে পাঠিয়ে দিয়ে আরমান পরীক্ষানিরীক্ষার কাগজপত্র আনতে আজমপুরের বাসায় যান। কাগজপত্র নিয়ে নিউরো সায়েন্সের উদ্দেশে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার পথে বিমানবন্দর নতুন টার্মিনালের সামনে সড়কে দ্রুতগতির একটি বাস তাঁর মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন আরমান। ঢামেক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক জানান, লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে। আরমান চাঁদপুর হাজিগঞ্জ উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের ম্যানপাওয়ার ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান মির্জার ছেলে। উত্তরা আজমপুর কাঁচাবাজার এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন আরমান।