আগস্ট মাসে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৫৪৬ জন মিয়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ছাড়া সীমান্তে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০৯ জন চোরাচালানি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে ১৬০ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ১৭৭ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী। গতকাল বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। এতে আরও জানানো হয়, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে ১৩ কেজি ৪৪০ গ্রাম স্বর্ণ, ১৮ কেজি ৭৩০ গ্রাম রূপা, ৮ হাজার ৭৩৯টি শাড়ি, ৪ হাজার ৯০৩টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ৩ হাজার ৯৭৭টি তৈরি পোশাক, ৯ হাজার ৬০৩ মিটার থান কাপড়, ৪ লাখ ৪১ হাজার ১৭২টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৪১ হাজার ৩৩১ পিস ইমিটেশন গহনা, ১৪ লাখ ১ হাজার ৫১৩টি আতশবাজি, ৪ হাজার ৫৪৬ ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ১৯৪ কেজি চা পাতা, ৭ হাজার ৩২১ কেজি সুপারি, ১ হাজার ৩৭৬ কেজি সার, ৪৫ হাজার ৫৫০ কেজি কয়লা, ৫৩ হাজার ৫৪৫ কেজি সুতা/কারেন্ট/দুয়ারি জাল, ৮৬৫টি মোবাইল, ৬ হাজার ৭০৭টি মোবাইল ডিসপ্লে, ২০ হাজার ১০৪টি চশমা, ৭ হাজার ২২০ পিস যানবাহনের যন্ত্রাংশ, ৭ হাজার ৩১৮ কেজি জিরা, ১৪ হাজার ৩৭৩ কেজি চিনি, ৪ হাজার ৪৬৭ কেজি পিঁয়াজ, ৮ হাজার ৩৮৮ কেজি রসুন, ১ হাজার ৬২ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ২ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬১ পিস চকোলেট, ১২টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ১৩টি পিকআপ/ট্রাক্টর, ১টি ট্রলি, ৬টি প্রাইভেট কার/মাইক্রোবাস, ১৫৬টি নৌকা, ৪০টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৫৬টি মোটরসাইকেল এবং ৩৫টি বাইসাইকেল/ভ্যান রয়েছে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- তিনটি দেশি/বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, একটি এসএমজি, তিনটি রাইফেল, ১৬টি ম্যাগাজিন, ৮১৫ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ৮টি অন্যান্য অস্ত্র।