সাড়ে ৫ কোটি ভিসাধারীকে ভীতির মধ্যে ফেলে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এসব ভিসাধারী ভিসার আইন ভঙ্গ করেছেন কি না, কিংবা ভিসা বাতিলযোগ্য অপরাধে জড়িত কি না, তা খুঁজে বের করতে নথি যাচাই-বাছাই করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ২১ আগস্ট স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসি তৎপরতার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্সিটিগুলোতে তুমুল বিক্ষোভের পর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এখন সেই পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত করা হলো সব নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসাধারীদেরও। ভিসার আবেদনে মিথ্যা তথ্য প্রদান, ভিসা ইস্যুর পর তা বাতিল হওয়ার মতো আচরণে লিপ্ত কিংবা ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ না করে ভিন্ন কর্মসূচিতে (বিবাহ, অ্যাসাইলাম, রিফিউজি, নির্যাতিত ভিকটিম) অভিবাসনের মর্যাদার জন্য আবেদনকারীরা এ পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে। ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত/দোষী সাব্যস্ত হওয়া বিদেশিরাও গ্রেপ্তারের আওতায় আসবেন এবং কোনো ধরনের প্রোগ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করে থাকলে সেগুলোও বাতিল বলে গণ্য হবে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের ভঙ্গুর অভিবাসন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে যতটা কঠোর হওয়া দরকার তা অবলম্বন করছেন। এরই মধ্যে সীমান্তকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। ইমিগ্র্যান্ট/নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। নাম পাল্টিয়ে অথবা ঠিকানা বদলকারী অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়াকেও ঢেলে সাজানো হয়েছে। অবৈধ/অপরাধী অভিবাসীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’ তথা আইসে জনবলের যে সংকট ছিল তা পূরণের স্বার্থে অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করেছে কংগ্রেস। ফলে নির্বাচনি অঙ্গীকার প্রতিপালনে ট্রাম্প প্রশাসন বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করছে না।