রাজধানীর বনানীর ‘৩৬০ ডিগ্রি’ সিসা বারে খুন হয়েছিলেন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রাহাত হোসেন রাব্বি। এলিট ফোর্স র্যাব নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাকসুদুর রহমান হামজা ও মুন্না নামের দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তারা জানিয়েছে, আধিপত্যের দ্বন্দ্বেই ছুরিকাঘাতে খুন হন রাহাত। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোড এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত সুইস গিয়ার ছুরি। গতকাল উত্তরা এলাকায় র্যাব-১ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান। তিনি জানান, বনানীর ওই সিসা বার দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী-অপরাধী ও কিশোর গ্যাংয়ের আড্ডাস্থল ছিল। মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা নিয়মিত এখানে আসা-যাওয়া করত। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলমান দ্বন্দ্বের জেরে ১৪ আগস্ট ভোরে খুন হন রাহাত। র্যাব জানায়, ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন ভোর ৫টা ২৮ মিনিটে রাহাত সিসা লাউঞ্জের সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন। এ সময় মুন্না ও হামজা তার পথরোধ করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মুন্না পাঞ্জাবির পকেট থেকে ধারালো ছুরি বের করে রাহাতকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এ সময় হামজা লাঠি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত রাহাতকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ১৫ আগস্ট কুমিল্লার বরুড়া থানার গামরুয়া এলাকা থেকে মাকসুদুর রহমান হামজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে মুন্নাকেও আটক করা হয়। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।