বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২-এ বড় পরিবর্তন এনে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডিন্যান্সের (অ্যামেন্ডমেন্ট) খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। খসড়ায় গভর্নরের নিয়োগ রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে এবং মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
গতকাল এক কর্মকর্তা জানান, অর্ডিন্যান্সের খসড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়ে গভর্নর নিয়োগ এবং মেয়াদে পরিবর্তন আনা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ অনুযায়ী, সরকার যোগ্য ব্যক্তিকে গভর্নর এবং এক বা একাধিক ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। মন্ত্রিপরিষদশাসিত সরকারের এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা জানান, এতদিন প্রধানমন্ত্রী চাইলে রাষ্ট্রপতির অনুমতি বা পরামর্শ ছাড়াই গভর্নর নিয়োগ দিতে পারতেন। খসড়া অর্ডিন্যান্সে গভর্নর নিয়োগের ক্ষমতা পাবেন রাষ্ট্রপতি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে গভর্নর নিয়োগ দেবেন। এ ছাড়া গভর্নর নিয়োগে সংসদের সম্মতির বিষয়টিও যুক্ত করা হচ্ছে। এর বাইরে পরিবর্তনের প্রস্তাব এসেছে গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরের শপথ প্রক্রিয়া এবং পদমর্যাদা বৃদ্ধি নিয়েও। ‘৭২ সালের ব্যাংক আইন অনুযায়ী, গভর্নরের বর্তমান মেয়াদ চার বছর হলেও এটি বাড়িয়ে ৬ বছর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে খসড়ায়। ব্যাংক আইন পরিবর্তন প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতে ব্যাংক আইনে বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন বলেন, অর্ডিন্যান্সের খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। তবে প্রস্তাবিত কোন কোন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে চূড়ান্ত করা হবে তা অর্ডিন্যান্স জারির পরেই জানা যাবে।