বাংলাদেশের রাজনীতি এখন এক জটিল আবর্তের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে বলেই মনে হয়। তারপরও আশা করি পথ হারাবে না। নির্ধারিত সময়ে সাধারণ নির্বাচনটা ভালোয় ভালোয় হয়ে গেলে সব পথ এক জায়গায় এসে মিলে যাবে হয়তো। অন্তত দেশের শান্তিকামী মানুষ এমনটাই আশা করে। গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার সংস্থার সভাপতির সঙ্গে বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কোনো কোনো আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে চাইছে। তারা কার জন্য কাজ করছে, আমরা জানি না। তবে তারা ভালোভাবে নেমেছে। প্রচুর টাকা ঢালা হচ্ছে। এর সুবিধাভোগীরা দেশের ভিতরেও আছে, বাইরেও আছে। এটাই বিপজ্জনক। সামনে কয়েকটি মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি তিনি আরও দুটি প্রসঙ্গ এনেছেন। তার একটি হলো, আগামী ফেব্রুয়ারিতে তারা খুব ভালো একটি নির্বাচন করতে চান। সেই নির্বাচন এতটাই ভালো হবে, অতীতে বাংলাদেশে এমন ভালো নির্বাচন আর হয়নি। অতি ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানের সংকল্পের কথা এর আগেও তিনি একাধিকবার বলেছেন। নিউইয়র্কে তা পুনর্ব্যক্ত করলেন মাত্র। ফ্যাসিবাদের পনেরো বছরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে ভোট দিতে না পারা মানুষের জন্য প্রধান উপদেষ্টার এই সংকল্প উৎসাহব্যঞ্জক নিঃসন্দেহে।
দ্বিতীয় কথা যেটা বলেছেন, সেটা হলো ফ্যাসিবাদের আমলে চুরি হওয়া এবং বাইরে পাচার করে দেওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ। সেই টাকাই ঢালা হচ্ছে নির্বাচন হতে না দেওয়ার চক্রান্ত পাকানোর কাজে-এরকম ইঙ্গিতও করেছেন। এতে বোঝা যায়, পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির দিকেই তিনি অঙ্গুলি নির্দেশ করতে চাইছেন। এর চেয়ে বেশি খোলাসা করার প্রয়োজন পড়ে না। অন্য এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। দলটির নিবন্ধনও বাতিল করা হয়নি। সাময়িকভাবে দলটির কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা যে কোনো সময় তুলে নেওয়া যেতে পারে। একই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তো কোনো রাজনৈতিক দলই নয়। রাজনৈতিক দলের কোনো চরিত্র এই দলের নেই। আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা বলবে নির্বাচন কমিশন। সে এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। ভালো নির্বাচন, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, আওয়ামী লীগের সমালোচনা ও কার্যক্রমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার- নিউইয়র্কে বসে এসব বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা যা যা বলেছেন তার সরল সমীকরণ মোটেও সহজ নয়। তা না হলেও প্রফেসর ইউনূসের এ ধরনের কথাবার্তায় অনেকেই ক্ষুব্ধ। কেউ কেউ বিচলিত। কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াও প্রকাশ করেছেন।
আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে দেশে আসলে কী কী ঘটতে যাচ্ছে তা এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। তবে তথ্য বিশ্লেষণ করে পলিটিক্যাল ফোরকাস্ট করাই যেতে পারে।
প্রথমেই আসা যাক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রসঙ্গে। ড. ইউনূস নিজেই নির্বাচনবিরোধী চক্রান্তের কথা বলেছেন। এর পেছনে যে টাকা ঢালা হচ্ছে তার সুবিধাভোগীরা দেশ ও দেশের বাইরে আছে। নির্বাচন বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে-এমন দাবি বিএনপিও করছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একাধিকবার এ ধরনের কথা বলেছেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ও তার মিত্রদলগুলো জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন, পিআরসহ বেশ কিছু দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করছে। জামায়াত ও মিত্ররা আওয়ামী লীগ এবং চৌদ্দদলীয় জোটভুক্ত দলগুলো নিষিদ্ধ করার দাবিও করছে। এনসিপিও বলছে, গণপরিষদ নির্বাচন করতে হবে সবার আগে। গণপরিষদ জুলাই সনদের ভিত্তিতে নতুন শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করবে, তারপর সেই শাসনতন্ত্রের অধীনে সংসদ নির্বাচন।
জাতীয় নির্বাচনের ঘোষিত টাইমফ্রেম অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে ভোট হলে সামনে সময় আছে সাড়ে চার মাসেরও কম। এই সময়ের মধ্যে এতগুলো দাবি নিষ্পত্তি করা আদৌ কি সম্ভব হবে? তা-ও যদি জুলাই সনদ এরই মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়ে যেত! সমঝোতা না হলে নির্বাচন বিলম্বিত হবে। আর এনসিপির দাবি অনুযায়ী গণপরিষদের নির্বাচন আগে হলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শিগগিরই হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাহলে ড. ইউনূস কি এসব দাবিদাওয়ার দিকে ইঙ্গিত করেছেন? এমনটি ভাবার সুযোগ সংকীর্ণ। কেননা জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্ক খুবই ভালো বলেই লোকবিশ্বাস। এমতাবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা কি আওয়ামী লীগ ও তার মিত্র বাইরের শক্তির দিকে আঙুল তুলছেন। পতিত আওয়ামী লীগ নির্বাচনবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করতেই পারে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটি জানে, জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেলে দেশের রাজনীতিতে পুনরায় সক্রিয় হতে তুলনামূলকভাবে তাদের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে। পক্ষান্তরে নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে তত রাজনৈতিক জটিলতা বাড়বে। অন্তর্বর্তী সরকার দুর্বল হবে। ভিতরে ভিতরে আওয়ামী লীগ তার যোগাযোগবিচ্ছিন্ন কর্মী-সমর্থকদের একতাবদ্ধ করার জন্য লম্বা সময় পাবে। ঝটিকা মিছিলগুলোকে বিক্ষোভ মিছিলে রূপান্তরিত করার সুযোগ আসবে। কাজেই কৌশল হিসেবে দলটি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার পরিকল্পনা করে থাকতে পার বৈকি। পরস্পরবিরোধী দুই বা ততোধিক রাজনৈতিক শক্তির কর্মকাণ্ডের ফল যদি অভিন্ন হয়, তাহলে সেই অবস্থাটিকে আমরা কীভাবে ব্যাখ্যা করব!
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর রাজনৈতিক দলগুলোর বড় সমস্যা হলো বাইরের শক্তির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব। কে কখন কার পারপাস সার্ভ করতে নেমে পড়ে তা বলা শক্ত। আমাদের রাজনীতিতে কমবেশি সব সময় তিনটি জুজুর ভয় কাজ করে। জজু নম্বর ওয়ান ইন্ডিয়া। জুজু নম্বর টু পাকিস্তান। সবার ওপরে জুজু নম্বর থ্রি আমেরিকা সাম্রাজ্যবাদ। এসব জুজুর ভয় দেখিয়ে এখানে রাজনীতি জোরদার হয়। এই দল সেই দলকে অমুক জুজু তমুক জুজুর দালাল বলে তিরস্কার করে। আর এ-ও অসত্য নয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এসব দেশের গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাব রয়েছে কমবেশি। আওয়ামী লীগ পূর্বাপর প্রো-ইন্ডিয়া। এটা কোনো লুকোছাপা কথা নয়। জামায়াতে ইসলামী প্রো-পাকিস্তান। বিএনপির দাবি তারা নিতান্তই বাংলাদেশপন্থি। দিল্লি, পিন্ডি বা অন্য কোনো দেশের রাজনৈতিক শাগরেদ তারা নয়। ইদানীং বিএনপিকেও ভারতের দালাল বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে একটি মহল। এমতাবস্থায় কে কার হয়ে কাজ করে, তা নির্ণয় করা সহজ নয়। এ নিয়ে আর কথা না বাড়াই।
আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের ওপর থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা যে কথা বলেছেন, তা নিয়ে কেউ কেউ বিচলিত, অনেকে ক্ষুব্ধ। হয়তো কেউ কেউ আশাবাদী। অনেকে বিভ্রান্ত। আওয়ামী লীগ ও এই দলের কার্যক্রমের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা যা-ই বলে থাকুন না কেন, বাস্তবতার নিরিখে আলোচনা হতে বাধা নেই। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে দলটির নেতৃত্বের স্বেচ্ছাচারিতা সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তার মূল্যও দিতে হয়েছে। দলীয়প্রধানসহ প্রমিনেন্টদের প্রায় সবাই পালিয়েছেন। যারা পালাতে পারেননি তারা জেলের ঘানি টানছেন। ছোট নেতারাও আছেন দৌড়ের ওপর। তারপরও প্রাচীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগের একটি বড় সমর্থক শ্রেণি রয়েছে। এরা মিছিল-স্লোগানে নেই। ভোটের সময় আছে। চোখে পড়ার মতো নয়, এমন নেতাও আছেন এই দলের অনেক। কাজেই এই দলটিকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করে নিষেধের বেড়াজালে চিরকাল আটকে রাখা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের ইতিহাসেও তার অজস্র দৃষ্টান্ত রয়েছে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর ধর্মভিত্তিক সব রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। পঁচাত্তরের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। আর এখন ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতির কথা চিন্তা করা যায় না। শেখ হাসিনার শাসনামলে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের প্রকাশ্যে আসার সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন ডাকসু-জাকসুতে ছাত্রশিবির। জামায়াতে ইসলামী দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে কত দিন আটকে রাখা যাবে, সেটা ভাবতে হবে ইতিহাসের শিক্ষা মাথায় রেখে। তবে আদালত যদি কোনো দলকে নিষিদ্ধ করে, সে ভিন্ন কথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালে হিটলারের নাৎসি দলকে দোষী সাব্যস্ত করে ক্রিমিনাল অরগানাইজেশন আখ্যায়িত করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে গেস্টাপোসহ আরও কয়েকটি সংস্থাকে ক্রিমিনাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। মামলা না হলে দলটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘস্থায়ী না-ও হতে পারে।
সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকারের ওপর গণতান্ত্রিক বিশ্বের চাপ থাকতে পারে। সেই চাপ উপেক্ষা করা একটি অস্থায়ী সরকারের পক্ষে কতখানি সম্ভব, সে এক বড় প্রশ্ন। সে ক্ষেত্রে কৌশলগতভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার চিন্তা করা হতে পারে। কী ঘটতে পারে সেই সম্ভাবনা নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোকপাত করা যাক। আওয়ামী লীগ নামটি দৃশ্যত বৈধভাবে বেহাত হয়ে যেতে পারে। মূল নেতৃত্বের হাত থেকে আওয়ামী লীগকে ছিনিয়ে নেওয়ার উদাহরণ অতীতের ইতিহাসেও আছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কাছ থেকে দলটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল ১৯৫৭ সালে।
আওয়ামী লীগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর হয়তো একটি বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশন আহ্বান করবেন দলের কম পরিচিত কোনো নেতা। কমিটি হবে। মূল নেতৃত্ব বাদ। সেই আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক নিয়ে যদি নির্বাচনে আসে তাহলেও বিস্ময়ের কিছু থাকবে না। নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা ও তার সরকারের কৃতকর্মের দায় নেবে না।
সব আসনে নিউবর্ন আওয়ামী লীগের পক্ষে মনোনয়ন দেওয়াও হয়তো সম্ভব হবে না। এ ধরনের কৌশল গ্রহণ করা হলে সেটা হবে লাঠি না ভেঙে সাপ মারা। বলছি না যে এমনই ঘটবে বা ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু ঘটলে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না। রাজনীতি হচ্ছে এক আজব ফ্যাকাল্টি। এখানে কী ঘটতে পারে না পারে তার কোনো ঠিকঠিকানা নেই।
এবার এনসিপি প্রসঙ্গে সামান্য আলোকপাত। নবীন এই দলের কোনো কোনো নেতা অনেক লম্বা কথা বললেও ভিতরে ভিতরে মুষড়ে পড়েছে বলেই মনে হয়। সরকারে থাকা ছাত্র উপদেষ্টারাও ভালো অবস্থায় নেই। সেটা বোঝা গেল তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কথায়। তিনি বলেছেন, কত দিন এই পদে থাকব তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। তিনি এক সেমিনারে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সম্প্রতি জানান, দুই ছাত্র উপদেষ্টার দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজে সহযোগিতা করছেন না। অন্যদিকে দলীয় প্রধান নাহিদ ইসলাম বলেন, যদি নতুন সংবিধান না করা যায়, তাহলে আমাদের তো অস্তিত্ব থাকে না। সেজন্য তারা আগে চাইছেন গণপরিষদ নির্বাচন। কিন্তু গণপরিষদের দাবি আদায় করার মতো পরিবেশ দেশে বর্তমান আছে বলে মনে হয় না। গণপরিষদের দাবি আদায় না হলে এনসিপি হয়তো নির্বাচনে যাবে না। এতে দলটির অস্তিত্বের সংকট আরও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা। যে ছাত্রদের এবং ছাত্রনেতাদের মানুষ পরম স্নেহ ও ভালোবাসায় আপন করে নিয়েছিল, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাদের অস্তিত্ব আজ কেন সংকটাপন্ন? আত্মসমালোচনা দরকার। বাস্তবতার নিরিখে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখা উচিত। যদি তারা ক্ষমতার ভাগ না চাইতেন, যদি পড়ার টেবিলে ফিরে যেতেন, যদি তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ না উঠত, তাহলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াত! যে কোনো সময় যে কোনো অনিয়মের বিপক্ষে তারা ভয়েস রেইজ করতে পারতেন। তারাই হতে পারতেন গণতন্ত্র ও সুশাসনের ভ্যানগার্ড। আর আজ তারা নিজেরাই অস্তিত্বের সংকটে নিপতিত। এমন তো কথা ছিল না।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক