মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার আলোকে ফিলিস্তিনের গাজায় শান্তি ফেরানোর সম্ভাবনার মধ্যে সেখানে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। তাদের বাহিনীগুলোর অব্যাহত হামলায় গতকাল অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন ত্রাণ নিতে এসে প্রাণ হারিয়েছেন। এনিয়ে ত্রাণসামগ্রী নিতে এসে প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনের সংখ্যা প্রায় ২৬ শ ছুঁইছুঁই, আর আহতের সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, গাজা সিটিতে এখনো যেসব সাধারণ মানুষ অবস্থান করছেন তাদের অনতিবিলম্বে সেখান থেকে অন্যত্র সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। এ আহ্বান সত্ত্বেও যারা সেখানে অবস্থান করবেন তাদের ‘সন্ত্রাসী’ ও ‘সন্ত্রাসের সমর্থক’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। গাজার হাসপাতালের সূত্রগুলো এবং উদ্ধারকারীদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। খবরে বলা হয়, গাজা সিটির পশ্চিমে আনসার এলাকায় গতকাল ইসরায়েলি ড্রোন থেকে চালানো গুলিতে এক শিশু নিহত হয়। এরপর গাজার মধ্যাঞ্চলে বাস্তুচ্যুতদের একটি শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত নয় ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ এলাকায় ড্রোন হামলার আরেক ঘটনায় আরও একজন নিহত হন। এখানে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
উল্লেখ্য, আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় এ পর্যন্ত সেখানে ৬৬ হাজার ২২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৮। টানা বোমা হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আর কঠোর ইসরায়েলি অবরোধের কারণে ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার এ ভূখণ্ডে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।