সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পরতে পরতে মূর্ত ছিল অভ্যুত্থান। চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে উঠে এসেছে রক্তাক্ত জুলাইয়ের স্মৃতিমাখা অগ্নিঝরা দিনগুলো। স্মৃতিচারণায় উপস্থাপিত হয়েছিল জুলাই শহীদদের বীরত্বপূর্ণ কৃতিত্ব ও আত্মদানের কথা। গ্রাফিতিতে চিত্রিত ছিল বিদ্রোহী কবির দেশপ্রেমে উজ্জীবিত জ্বালাময়ী সব পঙ্ক্তি। চলচ্চিত্র, স্মৃতিচারণা ও গ্রাফিতিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তুলে ধরা হয়েছিল জুলাই অভ্যুত্থানের সেসব দিনগুলি। আর এসব সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় উদ্যানে আগত দর্শক-শ্রোতারা হারিয়ে যায় ছাত্র-জনতার জ্বালাময়ী স্লোগান আর আন্দোলনে। এমন দৃশ্যকল্পই ফুটে উঠেছিল সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী আয়োজিত ‘জুলাই জাগরণ কালচারাল ফেস্ট’ শীর্ষক চার দিনের উৎসবের উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায়। গতকাল বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই উৎসবের উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সংগঠনের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাদিক কায়েম, আজিজুর রহমান আজাদ, নূরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রধান অতিথি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “জুলাই বৈষম্যের বিরুদ্ধে তীব্র এক বিস্ফোরণ, জুলাই প্রতিবাদের প্রবল উচ্চারণ। জুলাই আমাদের চেতনা, জুলাই আমাদের প্রেরণা। চব্বিশের জুলাইয়ে আবারও আমাদের তরুণরা রক্তস্নাত এ পলল ভূমিতে মুক্তির বীজ বপন করেছে। দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেছে জীবন যেখানে দ্রোহের প্রতিশব্দ মৃত্যুই সেখানে শেষ কথা নয়। ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’- সময়ের সাহসী এ অঙ্গীকারকে ধারণ, পালন ও লালন করেই আমাদের তরুণরা সাফল্যের এক মহাকাব্য রচনা করেছে জুলাইয়ে।” তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আরোপিত কালচারাল হেজিমনির ফ্রেম ভেঙে দিয়ে দেশজ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে বাংলাদেশের পক্ষের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, মুজিববাদকে পরাজিত করতে হলে নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ করে নিরন্তর এগিয়ে যেতে হবে। ৪ আগস্ট শেষ হবে চার দিনের এই আয়োজন।