নতুন শুল্ক কার্যকরের তারিখ পেছালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তিনি ঘোষণা দিচ্ছিলেন, শুক্রবার থেকেই ৬৮টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করা হবে এবং এতে বিশ্ব অর্থনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। এমনকি হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারাও এটিকে ‘অপরিবর্তনীয় সময়সীমা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন।
তবে বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাম্প যখন শুল্ক আরোপের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, তখন কার্যকরের তারিখ সাত দিন পিছিয়ে ৭ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়। এতে বলা হয়, শুল্কতালিকা হালনাগাদের জন্য এই সময় প্রয়োজন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানায়, শুল্ক কার্যকরে বিলম্বের এই সিদ্ধান্ত কিছু দেশের জন্য সাময়িক স্বস্তি বয়ে আনলেও ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের জন্য এটি নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। তারা এখনো নিশ্চিত নন—শুল্ক কখন কার্যকর হবে এবং তাদের ওপর তার প্রভাব কেমন হবে।
ট্রাম্প আশ্বাস দিয়েছেন, ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের আমদানীকৃত পণ্যের ওপর এই শুল্ক আরোপের ফলে চাকরির সুযোগ বাড়বে, নতুন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠবে, বাজেট ঘাটতি কমবে এবং মার্কিন মর্যাদা বাড়বে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ, অনেক মিত্র দেশকে এখন প্রতিকূল চুক্তি মেনে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। অন্যদিকে, শিল্প-কারখানার কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বসানোয় মূল্যস্ফীতি বাড়বে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেতে পারে—যা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সেভাবে কোনো বিবেচনা নেই বলেই অভিযোগ উঠছে।
সোর্স: এপি নিউজ
বিডি প্রতিদিন/আশিক