রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপির কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রাজধানীর ওয়ারীর গোপীবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপুসহ চাঁদা দাবির ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। চাঁদাবাজির ঘটনায় এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজনকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানার পুলিশ। প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামির রিমান্ড চলছে। ডিসি তালেবুর বলেন, ‘ঘটনার সূত্রপাত গত ১৭ জুলাই। সকাল আনুমানিক ১০টার সময় জানে আলম তপু ও রিয়াদ নামে দুইজন ওই বাসায় প্রথম যান। গিয়ে তারা ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং সেদিনই তারা ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। পরে ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টায় ওই বাসায় গিয়ে বাকি ৪০ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। ২৬ জুলাই আরও লোকজন বাড়িয়ে সেখানে যান এবং বাকি টাকা প্রদানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। তখন পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার এবং একজন পালিয়ে যান। সেই পলাতক জানে আলম তপুকে ওয়ারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। এদিকে রিয়াদের নাখালপাড়ার বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক এবং পরে বাড্ডার আরেকটি বাসা থেকে ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে আমাদের তদন্তকাজ অব্যাহত রয়েছে।’ গ্রেপ্তার ছয়জনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কোনো সমন্বয়কের যোগসাজশ রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তালেবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটা আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় অন্য কারও কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। এর অন্য কোনো দিক আছে কি না, তা-ও গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখছি।’