রাজধানীর ভাটারা এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী ক্যাডারদের ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকের রহস্য উদ্ঘাটনে এবং জড়িতদের বের করতে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একই সঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থান ও অন্তর্র্বর্তী সরকারের বর্ষপূর্তিতে আগস্টকেন্দ্রিক কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। গত ৮ জুলাই ভাটারা এলাকা থেকে গোপন বৈঠক করায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মেজর সাদিকুল হক নামে এক সেনা কর্মকর্তার বৈঠকে অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠলে তাকে হেফাজতে নেয় সেনাবাহিনী। বলা হচ্ছে, দেশজুড়ে ব্যাপক নাশকতার ছক কষতে ওই বৈঠকে আওয়ামী ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘নানা সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করার জন্য অনেকেই চেষ্টা করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির ৫০টি থানা এলাকায় ৪৮৯টি টহল টিম এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৬৬টি চেকপোস্ট পরিচালিত হয়েছে। বর্তমানে আগস্টকেন্দ্রিক কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা দেখছি না। আমরা সবসময় সতর্ক রয়েছি।’
সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ২৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৭৪৯ এবং অন্যান্য ঘটনায় ৫১২ জন রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ১৫ রাউন্ড গুলি ও ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা আছে। এ অভিযান সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।