এখন বিয়ে নিয়ে মেয়েরা কত প্ল্যান করে, লেহেঙ্গা কোন কালারের হবে, গয়না কেমন হবে, হালুদে কী পরবে… একেকটা ছোট জিনিসেও কত সময়, শ্রম, টাকা খরচ হয়।
আমার হলুদের দিনে আমি পার্লারে বসে মেহেদি দিচ্ছিলাম! আলাদা করে বাসা থেকে কেও বা কোনো বান্ধবী আসেনি, যদিও আমার পুরো বিয়ে খুব ধুমধাম করে হয়েছিল। একজনকে কার্ড দিতে যাওয়ার সময় (মিডিয়ার একজন) আমাকে বলেছিল, 'তুমি নায়িকা, তুমি বিয়ে করবা কিজি অফিসে যেয়ে চুপচাপ, তুমি এত ধুমধারাক্কা করে বিয়ে করবা কেন?' আমি শুধু হেসেছিলাম।
আমার বাড়ির সবাই যেহেতু খুলনায় থাকত, ঢাকায় অনুষ্ঠান, বেশিরভাগ মেয়েদের দিকের কাজ আমাকেই করতে হয়েছিল! এল.এল.বি এর দ্বিতীয় বর্ষের এক্সামও শেষ হয়েছিল বিয়ের কয় দিন আগে! আমার বয়সও তখন খুব বেশি না। সবকিছু নিজে গুছিয়ে উঠতে পারসিলাম না। আমার বিয়ে হয় ২০১৪ সালে, ১১ বছর আগে, আমার লেহেঙ্গার রঙ কী, সেটাও জানতাম না! আম্মা (শাশুড়ি) নিজেই পছন্দ করে পাঠিয়েছিলেন। Thanks god she has a very good taste always! সাথে পাঠিয়েছিলেন আসল গয়না। কিন্তু যখন সেটা হাতে পেলাম, তখন প্রায় শুকিয়ে গেছে ফুলগুলো।
আমার মনে হয় এখন মেয়েরা যেভাবে বিয়েতে এত সুন্দর করে সবকিছু আগে থেকে রেডি রাখে, ওই শুকনা ফুলগুলো দেখলে ওইখানেই অজ্ঞান হয়ে জেত! সময় তখন সন্ধ্যা ৭টা, আর এক ঘণ্টার মধ্যে আমাকে হলুদের অনুষ্ঠানে পৌঁছাতে হবে! (ফটোগ্রাফরা বলেছিল ৫ তার মধ্যে থাকতে, আমি গিয়েছি রাত ৮টায়, ৫-১০ মিনিট ছবি তুলে stage এ বসে গিয়েছিলাম!)।
তাড়াতাড়ি ড্রাইভারকে বললাম, “ফুলের দোকানে যেয়ে ready made যেকোনো একটা ফুল বা হলুদ এ পড়ার মতো গয়না নিয়ে আসতে!" বিয়ে নিয়ে আমার কখনই আহামরি fairy tale এর মতো ইচ্ছা কিছু ছিল না। কিন্তু সবকিছু কেমন সুন্দর করে ঠিকঠাক হয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ!
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ