শেয়ারবাজারে বন্ড ইস্যুতে অনিয়মের অভিযোগে সালমান এফ রহমানকে ১০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার ছেলে সায়ান ফজলুর রহমানকে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইএফআইসি গ্যারান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড নিয়ে অনিয়ম করায় এ জরিমানা করেছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বর্তমানে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি। জরিমানার পাশাপাশি তাকে শেয়ারবাজারে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আজীবন ও কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদকে ৫ বছরের জন্য পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।গতকাল বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশন সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, আইএফআইসি গ্যারান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ড ২০২৩ সালের ৪ জুন ৮৭১তম কমিশন সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর ওই বছরের ১২ জুলাইয়ের সম্মতিপত্র ইস্যু করা হয়। আইএফআইসি ব্যাংক এ বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড বন্ডটির মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নাম ব্যবহার করা হয়েছে। যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে। কিন্তু আইএফআইসি ব্যাংক ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
এ বিষয়ে ‘পুঁজিবাজার অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ অনুসন্ধান ও তদন্ত করেছে এবং প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সালমান এফ রহমানকে জরিমানা ও পুঁজিবাজারে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণার পাশাপাশি আরও কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।