মেহেরপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তিন নারীসহ ১৮ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গাংনী উপজেলার কাজিপুরের সীমান্ত পিলার ১৪৭/এমপির কাছে বাংলাদেশের ভিতরে ওই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, এসব নাগরিক বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। ভারতের পুলিশ তাদের আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। সেখানে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর তাদের ফেরত পাঠানো হলো। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান জানান, ভারতের ১১ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের গান্দিনা কোম্পানি কমান্ডার পত্রের মাধ্যমে এই ১৮ বাংলাদেশির তালিকাসহ ফেরত প্রদানের প্রস্তাব পাঠান। প্রত্যেকের ঠিকানা যাচাই করে বিজিবি নিশ্চিত হয় যে তারা বাংলাদেশি। ফেরত আসা নাগরিকরা হলেন পটুয়াখালীর মেহেদী, চুয়াডাঙ্গার নুরজাহান, নড়াইলের ফরিদ শেখ, ঝিনাইদহের জিসান মণ্ডল ও সাইদুল ইসলাম, চাঁদপুরের খোকন বেপারী, সাতক্ষীরার মাজেদা ঢালী, শামিম হোসেন, মিঠুন ঘোষ, খালিদা সরদার ও মিলন কুমার, রাজশাহীর আবদুল কুদ্দুস, যশোরের আহমেদ আলী, মৌলভীবাজারের লিটন দেব, চট্টগ্রামের শুভ মজুমদার, ঢাকার স্বাধীন রাজবংশী, মাদারীপুরের মহিউদ্দিন ফকির ও কুষ্টিয়ার নাসিমা শেখ। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে গাংনীর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাবিদ হোসেন, বিজিবি কাজীপুর কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার মো. শাহাবুদ্দিনসহ আটজন এবং ভারতের পক্ষে বিএসএফ-১১ ব্যাটালিয়ন গান্দিনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এসি সুনীলের নেতৃত্বে আট সদস্য উপস্থিত ছিলেন। গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বানী ইসরাইল জানান, ভারত থেকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানো সবাইকে গাংনী থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। নিজ নিজ পরিবারের লোকজন এসে পৌঁছালে তদন্ত শেষে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।