মামলা-হামলাসহ নানা রকম হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবসায়ীরা দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আস্থার সংকটে ভুগছেন। নতুন করে বিনিয়োগ হবে কি, এখন তাঁদের পুঁজি ধরে রাখাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দেশের ব্যবসায়ীমহল, উদ্যোক্তা ও অভিজ্ঞজনদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রমে স্থবির হয়ে পড়ছে উৎপাদনমুখী শিল্পের চাকা।
৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর একের পর এক মামলা, কারখানা ভাঙচুর, দখল, অগ্নিসংযোগ ও শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় ব্যবসায়ীদের একটি অংশ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। তাঁদের বেশির ভাগই এখনো ফেরেননি। তাঁদের শিল্প-কারখানাগুলো যেমন ঝিমিয়ে পড়ছে, তেমি কর্মীরাও ধুঁকছেন অর্থসংকটসহ নানা সমস্যায়।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় নতুন করে ব্যবসায়ীদের কেউ দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন, যা অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অস্থিরতার প্রাথমিক ধাক্কা সামলে বেসরকারি খাত ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ফিকে হতে চলেছে। মামলা-হয়রানিতে বিপর্যস্ত বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যে নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতার উদ্বেগের ছায়া নেমে এসেছে। সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতির পরও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ এখনো স্বস্তিতে নেই, যা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের চাকাকে পেছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা স্বীকার করছেন, যতক্ষণ না সরকার এই খাতকে আস্থায় নিয়ে একটি হয়রানিমুক্ত, নিরাপদ ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে, ততক্ষণ অর্থনীতির চাকায় আশানুরূপ গতি ফেরানো সম্ভব নয়।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বেসরকারি খাতের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না। বেসরকারি খাতের পরিস্থিতি ভালো করতে গেলে বিনিয়োগ করতে হবে। শুধু টাকা থাকলে বিনিয়োগ হয় না। বিনিয়োগের জন্য পরিবেশ লাগে এবং স্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রয়োজন হয়।
এমনিতেও আর্থিক খাতের অবস্থা ভালো নয়। আগের চেয়ে আরো খারাপ হয়েছে। যত দিন পর্যন্ত অবাধ, সুষুম ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার আসবে না, তত দিন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে উন্নতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা-হয়রানিতে অনেকেই বিনিয়োগে নিরুৎসাহ হচ্ছেন, কেউ কেউ দেশ ছাড়ছেন। বিজিএমইএ, বিকেএমইএর তথ্য মতে, শতাধিক কারখানা এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এর বাইরেও অনেক কারখানায় কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর আমরা শুনেছি। সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা পুরোপুরি আস্থায় ফিরতে পারেননি। আস্থার সংকট দূর করা এখন জরুরি।’
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট বছরের বিনিয়োগ সাধারণত পরবর্তী কয়েক বছরের জন্য প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। ২০২৫ সালে কম বিনিয়োগ অদূর ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধির গতিপথকে কমিয়ে দিতে পারে। বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের আরো বৃদ্ধি রোধ করতে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার চ্যালেঞ্জগুলো দ্রুত কাটিয়ে উঠতে হবে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাংলাদেশের মতো অর্থনীতির জন্য দারিদ্র্য দূরীকরণে কর্মসংস্থানের ন্যূনতম স্তরের হলেও প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন। স্থিতিশীলতা না থাকলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রয়োজনীয় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব না-ও হতে পারে।’
যখন শিল্পের উঠানে আগুন : আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে, বিশেষ করে গাজীপুর, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতসহ বিভিন্ন কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে চরম অস্থিরতা। আকস্মিক শ্রমিক বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শত শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) তথ্য মতে, আগস্টের সহিংসতায় চার শতাধিক কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি কারখানায় উৎপাদন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন মালিকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার ৩০ বছরের ব্যাবসায়িক জীবনে এমন দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি হইনি। দিনের পর দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কারখানা পাহারা দিয়েছি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা কারখানায় ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।’ এই সহিংসতা শুধু আর্থিক ক্ষতিই করেনি, মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে তৈরি করেছে এক গভীর অবিশ্বাস ও ভয়ের প্রাচীর।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে কিছু কারখানা মলিক দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। এতে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে। আবার কিছু ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। আমরা বিজিএমইএ থেকে উদ্যোগ নিয়েছি, আমাদের সদস্যদের যাতে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা না হয় সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, কারখানার নিরাপত্তা, ব্যাংকের উচ্চ সুদ হার, জ্বালানি সংকট—এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা সরকারকে বারবার বলে আসছি। এগুলো তাড়াতাড়ি নিষ্পতি না হলে অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের অবদান প্রত্যাশিত গতিতে বাড়বে না।’
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, ‘একটি দেশের বেসরকারি খাতের অবস্থা কী রকম, তার কিছু নির্দেশক থাকে, যেটা দিয়ে বোঝা যায় দেশের বেসরকারি খাতের অবস্থা। বিনিয়োগ হচ্ছে না। ব্যাংকঋণের চাহিদা বাড়ছে না। ঋণ প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, ২২ বছরের ইতিহসে যা সর্বনিম্ন। কঁচামালের আমদানিও কমে গেছে। নতুন করে বিনিয়োগ হচ্ছে না। আগে যে কারখানাগুলো ছিল সেগুলোর মধ্যেও কিছু বন্ধ হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষণ নেই। নির্বাচিত সরকার না এলে ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরানো কঠিন হবে। ’
মামলার খড়্গ ও দেশত্যাগের হিড়িক : অস্থিরতার পর থেকেই অনেক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা করা হয়। এর মধ্যে যেমন রয়েছে শ্রমিকদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ, তেমনই রয়েছে পূর্ববর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে হয়রানিমূলক মামলা। এই মামলাগুলোর একটি বড় অংশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সফিকুল ইসলাম খান সবুজ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে কিছু অসাধুচক্র মামলা বাণিজ্য শুরু করে। তার ধারাবাহিকতায় তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন ব্যাবসায়িক গোষ্ঠী বা ব্যাবসায়িক ব্যক্তিকে হয়রানি করতে মামলা করে। অথচ ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রেখেছেন। দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধির স্বার্থে যাঁদের বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ নেই।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাহিদুল ইসলাম বলেন, যে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যত শক্তিশালী সেই দেশের জীবনযাত্রার মান তত ভালো। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহল দেশের অর্থনীতির চাকা আটকে দিতে টার্গেট করে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলা দিয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধের জন্য অন্যতম বাধা। তাই সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া যেসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাঁদের বাদ দেওয়া হোক।
বিনিয়োগে স্থবিরতা ও কর্মসংস্থানে অশনিসংকেত : ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরাজমান এই আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা সরাসরি প্রভাব ফেলছে নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানের ওপর।
বেকারত্ব : দেশে বেকারত্ব আরো বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে বেকারত্বের হার বেড়ে ৪.৬৩ শতাংশে পৌঁছেছে। বর্তমানে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখ ৩০ হাজার। গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবৃদ্ধি : শুধু বিদেশি বিনিয়োগ নয়, দেশীয় বিনিয়োগও তেমন বাড়ছে না। বিনিয়োগ পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবৃদ্ধি তেমন বাড়ছে না। গত জুলাইয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৫২ শতাংশ। আগের মাস জুনে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬.৪৯ শতাংশ। জুনের তুলনায় জুলাইয়ে সামান্য কিছুটা প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানির জন্য খোলা এলসি কমেছে ২৫ শতাংশ। একই সঙ্গে কমেছে এলসি নিষ্পত্তিও।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি : ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩.৯৭ শতাংশ। তার আগের বছর প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৪.২২ শতাংশ। শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি নয়; সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগও কমেছে। বিদায়ি অর্থবছরে জিডিপির ২২.৪৮ শতাংশ বেসরকারি বিনিয়োগ হয়। তার আগের অর্থবছর যা ছিল ২৩.৫১ শতাংশ। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটিও ব্যবসা মন্দারই ফল।
সরকারের পদক্ষেপ ও ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা : বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা তাঁদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন এবং একটি হয়রানিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। তবে ব্যবসায়ীরা মনে করেন, শুধু প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়, এর দৃশ্যমান বাস্তবায়ন প্রয়োজন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সব ধরনের হয়রানিমূলক মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করে ব্যবসায়ীদের নির্বিঘ্নে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে। কারখানা ও ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ঘন ঘন নীতি পরিবর্তন থেকে বিরত থেকে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও অনুমানযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করবে। সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নিয়মিত সংলাপের মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে।
অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর পথ : সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘মামলা-হয়রানির কারণে উদ্যোক্তাদের মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাঁরা বড় কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। স্থানীয় উৎপাদকরা অনেকেই কারখানা সম্প্রসারণ স্থগিত রেখেছেন। তাই অর্থনীতির পুনরুদ্ধার যে গতি পাওয়ার কথা ছিল, তা আসছে না। বেসরকারি খাত ছাড়া প্রবৃদ্ধি হবে না।’
বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি বেসরকারি খাত। এই খাতকে পাশ কাটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, সরকারের প্রধান কাজ হবে অবিলম্বে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা।
ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ‘এই মুহূর্তে অর্থনীতির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আস্থা পুনরুদ্ধার করা। সরকারকে তার কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে তারা একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে পারলেই বেসরকারি খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এবং অর্থনীতির চাকায় পুনরায় গতি সঞ্চার হবে।’
বিডি প্রতিদিন/মুসা