পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় ৩২ বছর বয়সী এক নারীকে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করেছে। গতকাল বিকালে উদ্ধার হওয়া ওই নারী বর্তমানে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উদ্ধারের সময় ওই নারীর শরীরে মরিচের গুঁড়া লেপটানো ছিল। এ ছাড়া তার পরিধেয় কাপড়ও ছেঁড়া ছিল। তবে তার শরীরে থাকা বোরকাটি অক্ষত ছিল। ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙা ইউনিয়নে। স্থানীয়রা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে গামছা দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই নারীকে আলামকাঠী গ্রামে পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের একটি পার্শ্বরাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালে ভর্তি ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পিরোজপুর থেকে অটোরিকশাযোগে নাজিরপুর যাওয়ার পথে বাইপাস এলাকায় তার পরিচিত চারজন অটোরিকশাটিতে উঠে তার চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে তাকে আবার অচেতন অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। এ ছাড়া সে আর কিছুই বলতে পারেনি।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে। ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে সে ধর্ষিত হয়েছে কি না। এ ছাড়া বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর সফঙ্গ কয়েক ব্যক্তির আর্থিক লেনদেনের বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।