বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক নাঈম আবেদীন বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। সবাই বিবেকের তাড়নায় আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। আন্দোলনকালীন ও আন্দোলন-পরবর্তী আমাদের ভূমিকা ছিল ভিন্ন। রাজনীতিতে আমরা কাঁচা হওয়ার কারণে আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে আমরা পিছিয়ে পড়েছি।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
নাঈম আবেদীন বলেন, ‘আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে বিষয়গুলো ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক (পলিটিক্যাল মুভ)। এসব জায়গায় কেউ কাউকে স্পেস দেয় না, নিজেকেই নিজের স্পেস করে নিতে হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অতীতে পলিটিক্যাল জার্নি থাকায় তারা এসব ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছেন। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সেভাবে পলিটিক্যাল জার্নি না থাকার কারণে বিষয়গুলো বুঝতেও পারিনি। অনেক পরে আমরা বিষয়টি টের পেয়েছি।’ এ সমন্বয়ক বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজনকে উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে। ছাত্রদের নেওয়া সম্ভব না হলে অন্তত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে উপদেষ্টা হিসেবে নিতে হবে। কিন্তু সেটাও তারা আমলে নেয়নি।’ তবে নবগঠিত রাজনৈতিক দলে (এনসিপি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভালো একটি অংশকে রাখা হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।