জুমাতুল বিদায় গতকাল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নেমেছিল। সকাল ১০টা থেকেই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসল্লিরা জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে থাকেন। মসজিদের উত্তর গেটে কড়া পুলিশি প্রহরা বসানো হয়। সকাল ১১টার পর জাতীয় মসজিদের ভেতর মুসল্লিতে ভরে যায়। একপর্যায়ে পূর্ব সাহান এবং মসজিদের সাত তলা পর্যন্ত তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।
শুধু বায়তুল মোকাররমই নয়, সারা দেশের মসজিদগুলোতে জুমার নামাজে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। ইমাম-খতিবরা দেশ-জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত করেন। এ সময়ে মহান আল্লাহর ক্ষমা ও নৈকট্য লাভে মুসল্লিদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজের পর খতিব মুফতি আবদুল মালেক দেশ, জাতির শান্তি, কল্যাণ, ফিলিস্তিনিদের মুক্তি এবং মুসলিম উম্মাহর উন্নতি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় মুসল্লিরা আমিন-আমিন ধ্বনিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এদিকে জুমার নামাজ এবং বড় জমায়েত কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এবং আশপাশের এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। মসজিদের সব গেট এবং তার সামনের সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে।