‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের অধীনে জিটুজি ভিত্তিক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কার্য ও পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম সম্পাদনের নিমিত্তে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্র্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে কমার্শিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উক্ত স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)-এর পক্ষে মি. কে চেংলিএং এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান কমার্শিয়াল এগ্রিমেন্টে স্বাক্ষর করেন। এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, মোংলা বন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। মোংলা বন্দরকে আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত করতে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দর একটি আধুনিক, স্বয়ংক্রিয় (অটোমেশন) ও গ্রিন পোর্টে রূপান্তরিত হবে।
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬৮ কোটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা, যা সরকারি অর্থায়ন ও প্রকল্প ঋণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য আধুনিক বন্দর সুবিধাসহ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে ৩৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে দুটি কনটেইনার জেটি নির্মাণ; লোডেড এবং খালি কনটেইনারের জন্য ইয়ার্ড নির্মাণ; জেটি এবং কনটেইনার মজুত ও ইকুইপমেন্ট পরিচালন অটোমেশনসহ অন্যান্য সুবিধাদি। প্রকল্পটি যথাক্রমে একনেক এবং উপদেষ্টা পরিষদের ক্রয়সংক্রান্ত কমিটিতে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি এবং ১১ মার্চ অনুমোদিত হয়।