সাভারের আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার দুপুরে নিহত স্বর্ণ ব্যবসায় দিলীপ দাসের স্ত্রী সরস্বতী দাস বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন।
প্রাথমিকভাবে আটক সন্দেহভাজনদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে আটক দুই নারীর মধ্যে একজন ঘটনার কিছুক্ষণ আগে চেন কিনতে এসেছিলেন। স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে গতকাল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নয়ারহাটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক দিলীপ দাস দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় তার স্ত্রী সরস্বতী দাসও তার সঙ্গে ছিলেন। দোকানের শার্টার বন্ধ করার সময় হঠাৎ ৬-৭ জন যুবক এসে দিলীপ দাসের সঙ্গে থাকা স্বর্ণ ও টাকার ব্যাগ ডাকাতির চেষ্টা করে। এ সময় দিলীপ দাস ব্যাগ দিতে না চাইলে অস্ত্রধারীরা তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় দিলীপ দাসের স্ত্রী সরস্বতী দাস চিৎকার করলে ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা স্বর্ণব্যবসায়ী দিলীপ দাসকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে মারা যান তিনি।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুব দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনাসহ লুট হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারের কাজ চলছে।