বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, সংকট উত্তরণে দরকার নির্বাচিত সরকার। আমরা আশা করি, সরকার ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে না রেখে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। এটা শুধু আমাদের দাবি নয়, অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মনের ভাষা বুঝবে বর্তমান সরকার। চলতি মাসের মধ্যে কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা না হলে এবং যদি আমাদের কাছে ও জনগণের কাছে মনে হয়, সরকার নির্বাচন দিতে কালবিলম্ব করছে তাহলে আমরা মাঠে নামব। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলো এক হয়ে নির্বাচনের জন্য মাঠে নামব। আশা করি, বর্তমান সরকার নির্বাচনের বিষয়ে মাঠে নামতে বাধ্য করবে না। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, অনেকেই বলছেন, বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে সমস্যা কোথায়! আমি তাদের বলতে চাই, কোন যুক্তিতে এ সরকারকে দীর্ঘদিন থাকতে বলেন? এ সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে পারছে না। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। বরং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এখানে সরকার হাত দিতে পারবে বলে মনে হয় না। টিসিবি-ওএমএস নিয়ে সরকার একটা জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ফেলেছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিই নয়, চরম অবনতি। নারীর প্রতি বিদ্বেষ সহিংতা, আক্রমণ, খুন, ধর্ষণ বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বলতে কোনো জিনিস নেই। কাজেই সংকট উত্তরণের জন্য দরকার নির্বাচিত সরকার। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার এলেই সব নিয়ন্ত্রণ হবে এটাও বিশ্বাস করি না। তবে স্বচ্ছতা-জবাবদিহি আসবে। গণতন্ত্রের দিকে এগোনোর পথ সুগম হবে। কাজেই দ্রুতই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা উচিত। তা না হলে অন্য সংকটের মধ্যে দেশি-বিদেশি শক্তি জল ঘোলা করবে। ভূ-রাজনৈতিক কারণে অনেক দেশ বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র দেখিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করবে। আমরা সে সুযোগ দিতে পারি না।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আমরা গত ৩ জানুয়ারি বর্তমান সরকারকে বার্তা দিয়েছিলাম, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য এ মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। এর মধ্যে সংস্কারের নামে কী কী করতে চান জানান এবং কখন নির্বাচন দিতে চান সে রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্ব করার জন্য নানা কথাবার্তা সামনে আনা হচ্ছে। সংস্কারের জন্য কত সময় দরকার? সেটা পরিষ্কার করা উচিত। একটি সুষ্ঠু ভোট করতে যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন সেটা করা উচিত। সেই বিবেচনায় এই মুহূর্তে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত।