জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে বলেছে, বৈশ্বিক মানবিক সাহায্য হ্রাস করার কারণে আফগানিস্তান, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, হাইতি, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান ও সুদানে প্রায় ১ কোটি ৩৭ লাখ মানুষ তীব্র অনাহারের ঝুঁকির মুখে আছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএফপির সবচেয়ে বড় দাতা দেশ ছিল। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দেশটি বৈদেশিক সহায়তা ব্যাপক কাটছাঁট করেছে। এর পাশাপাশি অন্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোও উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা খাতে সাহায্য হ্রাস করেছে বা করার ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল রোমভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, ‘ডব্লিউএফপির তহবিল আর কখনো এর চেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জে পড়েনি। ২০২৫ সালে সংস্থাটি ৪০ শতাংশ কম তহবিল পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে সম্ভাব্য বাজেট ৬৪০ কোটি ডলার হবে, যা ২০২৪ সালের ১ হাজার কোটি ডলার থেকে অনেক কম। ‘এ লাইফলাইন অ্যাট রিস্ক’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে ডব্লিউএফপি সতর্ক করে বলেছে, তাদের খাদ্য সহায়তায় কাটছাঁটের ফলে ১ কোটি ৩৭ লাখ মানুষ ‘সংকটজনক’ থেকে ‘জরুরি’ মাত্রার ক্ষুধার মুখোমুখি হতে পারে। -রয়টার্স
এটি পাঁচ স্তরের আন্তর্জাতিক ক্ষুধা সূচকে দুর্ভিক্ষ থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে। ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন বলেন, ‘ডব্লিউএফপির কী করা উচিত আর আমরা কী করতে সক্ষম তার মধ্যকার ফারাক কখনো বড় ছিল না। ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা কয়েক দশকের কর্মসূচিগুলো হারানোর ঝুঁকির মধ্যে আছি।’ -রয়টার্স