বুধবার লন্ডনে ক্লারেন্স হাউসে বাবা রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রিন্স হ্যারি। চলতি বছরের শুরুর দিকে হ্যারির পুনর্মিলনের আহ্বান জানানোর পর প্রায় ১৯ মাসের দূরত্বের অবসান ঘটিয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের মতে, ২০২০ সালে রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নকারী হ্যারি রাজার সঙ্গে একান্ত চায়ের জন্য দেখা করেন। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর এটি তাদের প্রথম সাক্ষাৎ। রাজা লন্ডনের বাসভবনে ফেরার পরপরই হ্যারিকে কালো গাড়িতে করে প্রবেশ করতে দেখা যায়। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্লারেন্স হাউসে প্রবেশের এক ঘণ্টারও কম সময় পর হ্যারির গাড়ি বের হয়ে যায়। পরে তিনি ইনভিক্টাস গেমস ফাউন্ডেশনের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। -বিবিসি
বাকিংহাম প্যালেস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সংক্ষিপ্ত এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী জল্পনার অবসান ঘটল, বুধবার রাজা স্কটল্যান্ড থেকে লন্ডনে ফেরার পর যা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল। রাজা গতকাল ফের স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। গত বছর ক্যানসারের ঘোষণা দেওয়ার পর হ্যারি দ্রুত যুক্তরাজ্যে ফিরে আসেন। তখনো তাদের দেখা হয় ক্লারেন্স হাউসে, যা ৪৫ মিনিটেরও কম স্থায়ী ছিল। পরদিনই হ্যারি ক্যালিফোর্নিয়ায় ফেরেন। মে মাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হ্যারি জানান, চলমান একাধিক মামলা ও রাজপরিবারকে নিয়ে তার প্রকাশ্য অভিযোগের কারণে তারা কোনো যোগাযোগ রাখছেন না। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, তাদের পুনর্মিলন হবে। এদিকে সিংহাসনের উত্তরসূরি বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে হ্যারির সম্পর্ক এখনো শীতল। উইলিয়াম ও হ্যারি দুজনই সোমবার উইন্ডসরের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ছিলেন। সেদিন হ্যারি তার দাদি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। রানি ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মারা যান। তিন দিনের সফরে হ্যারির একাধিক দাতব্য কর্মসূচি রয়েছে। তার সঙ্গে স্ত্রী মেগান ও সন্তানরা কেউ আসেননি। এই সফরে তিনি একাই এসেছেন। মে মাসে এক সাক্ষাৎকারে হ্যারি বলেছিলেন, যুক্তরাজ্য সরকার তার পুলিশি নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়ায় তিনি পরিবারকে নিয়ে ব্রিটেনে আসতে নিরাপদ মনে করেন না।