রয়টার্স/ইপসোসের এক জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮ শতাংশ নাগরিক ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে। তাদের মতে জাতিসংঘের সব দেশের ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। অন্যদিকে ৩৩ শতাংশ মার্কিনি এ স্বীকৃতির বিরোধিতা করেছে এবং ৯ শতাংশ কোনো মত দেয়নি। এদিকে ফিলিস্তিন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় বিভাজন স্পষ্ট। জরিপে অংশ নেওয়া ডেমোক্র্যাটের ৭৮ শতাংশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে মত দিয়েছে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের ৪১ শতাংশ পক্ষে ভোট দিলেও, ৫৩ শতাংশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চায় না। জরিপে আরও দেখা গেছে, ৬৫ শতাংশ মার্কিনি মনে করে গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষকে সাহায্য করা উচিত, আর ২৮ শতাংশ একমত নয়। রয়টার্স জানিয়েছে, এ অনলাইন জরিপে ৪ হাজার ৪৪৬ জন মার্কিনি অংশ নেয়, যেখানে ফলাফলে ২ শতাংশ মার্জিন অব এরর থাকতে পারে। এদিকে মাটিতে ভিন্ন চিত্র। ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটির উপকণ্ঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং পুরো শহর দখলে নিতে অভিযানের প্রথম ধাপ শুরু করেছে। গত বুধবার পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে গাজায় হামলায় প্রাণহানি বাড়ছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার ইসরায়েলি অভিযানে অন্তত ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়, অনাহারে মারা যায় আরও তিনজন। এ নিয়ে অপুষ্টি ও অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৯-এ, যার মধ্যে ১১২ শিশু। এ ছাড়া বিতর্কিত সংগঠন জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলায় ৩০ জন নিহত হয়, তাদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় বাস্কেটবল খেলোয়াড় মোহাম্মদ শালান।
একই সময়ে ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের দেওয়া ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তারা খতিয়ে দেখছে। এতে গাজায় আটক অর্ধেক ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয় রয়েছে। তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের মতে গাজায় পর্যাপ্ত সরবরাহ ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। এ কারণে দুর্ভিক্ষ ঘনিয়ে আসছে।
-রয়টার্স, আলজাজিরা