ইরান গত মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির নিয়মিত সেনাবাহিনীর অপারেশন বিভাগের উপপ্রধান মাহমুদ মুসাভি। জুনে ১২ দিনের সংঘাতে ইরানের আকাশে ইসরায়েলের বিমানগুলো ব্যাপক হামলা চালায়। বড় আঘাত হানে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর। এর জবাবে তেহরানের সশস্ত্র বাহিনীও ইসরায়েলি ভূখ লক্ষ্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন ছুড়েছিল। মুসাভি বলেন, ‘আমাদের কিছু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এটা লুকানোর কিছু নয়। কিন্তু আমাদের সহকর্মীরা দেশীয় সম্পদ ব্যবহার করে সেগুলোর বদলে আগে থেকে নিরাপদ জায়গায় মজুত রাখা ব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করেছেন, যেন আকাশসীমা সুরক্ষিত থাকে।’ -বিবিসি
ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কে রয়েছে দেশীয়ভাবে নির্মিত বাভার-৩৭৩ ও খোরদাদ-১৫ সিস্টেম, যেগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান প্রতিহত করতে সক্ষম। পাশাপাশি ২০১৬ সাল থেকে রাশিয়ার এস-৩০০ সিস্টেমও যুক্ত রয়েছে। যুদ্ধের পর গত কয়েক সপ্তাহে ইরান বিদেশি কোনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আমদানি করেছে কি না, সে বিষয়ে দেফা প্রেসের প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি।
শুধু আকাশ প্রতিরক্ষা নয়, ২২ জুন ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ফোরদো, ইসফাহান ও নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় নজিরবিহীন হামলা চালায়। এ হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, পরমাণু কেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি জানিয়েছে, তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে কেবল একটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।