ঈদের জামাত নিয়ে কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাট পুলিশ। চলতি বছর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাস্তায় ঈদের নামাজ আদায় করা যাবে না। নির্দেশিকা অনুযায়ী ঈদগাহ এবং মসজিদ ছাড়া কেউ কোথাও নামাজ পড়তে পারবেন না। এ নির্দেশিকা না মানলে দিতে হবে চড়া মাশুল। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাশাপাশি পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও বাজেয়াপ্ত করা হবে।
মিরাটের পুলিশ সুপার আয়ুষ বিক্রম জানিয়েছেন, ‘ইমাম এবং মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের আহ্বান জানানো হয়েছে, এ বছর ঈদের নামাজ যেন নির্দিষ্ট ঈদগাহ এবং মসজিদের মধ্যে আদায় করা হয়। কেউ যেন রাস্তায় নামাজ না পড়েন। নির্দেশিকা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিনিয়র পুলিশ সুপার বিপিন টাডা জানান, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ যদি গুজব বা অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সব যোগাযোগমাধ্যম গুলোর ওপর কড়া নজর রাখছি। কেউ যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করে কঠোর হাতে তা দমন করা হবে।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি) নেতা এবং জয়ন্ত সিং চৌধুরী জানিয়েছেন, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি ফৌজদারি মামলা করা হয় তবে তাদের পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে। সে ক্ষেত্রে নতুন পাসপোর্ট পেতে কঠিন সমস্যা হতে পারে। কারণ, আদালতের কাছ থেকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ সংগ্রহ করতে হবে। আর অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্দোষ প্রমাণিত না হলে সেই সনদ পাওয়া সম্ভব নয়।’