হামাস তিনটি কফিন ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে, যেগুলোর ভেতরে নিহত জিম্মিদের মরদেহ রয়েছে বলে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কফিনগুলো রেড ক্রসের মাধ্যমে গাজা উপত্যকা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে এবং সেগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্তের জন্য ইসরায়েলে পাঠানো হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এগুলো সত্যিই নিহত জিম্মিদের দেহ হয়, তবে গাজায় এখনো আটজন ইসরায়েলি ও বিদেশি জিম্মির মরদেহ রয়ে গেছে।
মার্কিন মধ্যস্থতায় গত মাসে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা ২০ জীবিত ও ২৮ নিহত জিম্মিকে ফেরত দেবে।
ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, হামাস নিহত জিম্মিদের দেহ ফেরত দিতে বিলম্ব করছে। অন্যদিকে হামাস বলেছে, অনেক মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে, সেগুলো উদ্ধারে কাজ চলছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার একটি টানেলের পথে রোববার ওই মরদেহগুলো পাওয়া গেছে।
পরবর্তীতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এক্স (সাবেক টুইটার)-এ জানায়, নিহত জিম্মিদের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে সরকার তাদের পাশে আছে। “প্রত্যেক জিম্মিকে দেশে ফেরানোর প্রচেষ্টা চলমান থাকবে, শেষ ব্যক্তি ফিরে আসা পর্যন্ত তা বন্ধ হবে না,” বিবৃতিতে বলা হয়।
জিম্মি ও নিখোঁজদের পরিবারের সংগঠনও নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে, দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অবশিষ্ট নিহত জিম্মিদের মরদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলে, “প্রধানমন্ত্রীকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে যেন সকল নিহত জিম্মির দেহ দ্রুত ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনা যায়।”
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজিম