গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৮টার পর জিম্মি মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মধ্যে প্রথম দফায় মুক্তি পেয়েছেন সাতজন। তাদের গাজায় রেড ক্রসের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম খবর দিয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের নাম–পরিচয় জানানো হয়নি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, হামাস ইতোমধ্যেই তাদের হস্তান্তর করেছে।
জিম্মিদের মধ্যে একজনের বাবা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ১৫ মিনিটের মধ্যেই তাদের ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফের কাছে হস্তান্তর করবে এবং এরপর তারা ইসরায়েলে পৌঁছাবে।
জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে, গাজায় রেড ক্রস সাতজন জিম্মিকে গ্রহণ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে সেনাবাহিনী জানায়, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) তাদের জানিয়েছে, হামাস সাতজন জিম্মিকে সংগঠনটির কাছে হস্তান্তর করেছে।
পোস্টে আরও বলা হয়, রেড ক্রস বর্তমানে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও শিন বেতের সদস্যদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যে সাত জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে তারা হলেন যমজ সন্তান গালি এবং জিভ বারম্যান, মাতান অ্যাংরেস্ট, অ্যালোন ওহেল, ওমরি মিরান, এইতান মোর ও গাই গিলবোয়া-দালাল।
এদিকে জিম্মি মুক্তির খবরে তেল আবিবের হোস্টেজেস স্কয়ারে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন হাজারো ইসরায়েলি নাগরিক। জিম্মিদের মুক্তির খবরে তারা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করছেন, গান গাইছেন এবং কেউ কেউ ইসরায়েলের পতাকা উড়াচ্ছেন।
অপরদিকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে বিশাল জনতা জড়ো হচ্ছে। সেখানে শিগগিরই নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে শত শত মুক্ত ফিলিস্তিনি পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে বন্দি বিনিময়ের জন্য মোট ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মির তালিকা প্রকাশ করেছে হামাস। বর্তমানে হামাসের হাতে থাকা ৪৮ জন জিম্মির মধ্যে এখনো এই ২০ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম