শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:২৯, সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

২০২৫ সাল

এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে এফডিআই কমেছে ৬১ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে এফডিআই কমেছে ৬১ শতাংশ

লুইজিয়ানাভিত্তিক জ্বালানি প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজি চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে জানায়, প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রে বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ টন সক্ষমতার একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করছে। তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি অ-বাধ্যতামূলক চুক্তি (নন-বাইন্ডিং এগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষর করেছে, যার আওতায় বাংলাদেশ প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনতে পারবে। যদিও আর্জেন্ট এলএনজি একটি গ্রীনফিল্ড প্রকল্প। এ প্রকল্প থেকে ২০৩০ সালের আগে কোনো গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। গ্যাস বিষয়ক ওই চুক্তিতে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিয়ে ওই সময়েই প্রশ্ন উঠেছিল।

জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর ফেব্রুয়ারিতে জাপান সফর করেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান। টোকিও ও ওসাকায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও বিডার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ইনভেস্ট বাংলাদেশ রোড শো ২০২৫। এপ্রিলে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলে যোগ দিয়ে কাতারের দোহায় যান বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান। সেখানে তিনি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও শিল্প উন্নয়ন সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন।

জুলাইয়ে চৌধুরী আশিক চীনের সাংহাইয়ে বিডার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেন। সেখানে বাংলাদেশ–চায়না ইনভেস্টমেন্ট সেমিনার ২০২৫–এ প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, টেক্সটাইল ও আইটি খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

আগস্টে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ–মালয়েশিয়া ব্যবসায়িক ফোরামে অংশ নেন আশিক মাহমুদ বিন হারুন। সেখানে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের বিশেষ প্রণোদনার সুযোগ ব্যাখ্যা করেন তিনি।

সর্বশেষ ৬ অক্টোবর বিডা, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সরকারি–বেসরকারি অংশীদারত্ব কর্তৃপক্ষের (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল ছয় দিনের সফরে তুরস্কে পৌঁছায়। সফরে আয়োজিত সেমিনারে অংশগ্রহণের পাশাপাশি একাধিক জি–টু–বি পর্যায়ের সভায় অংশ নেন আশিক চৌধুরী।

নিয়োগ পাওয়ার পর গত এক বছরের বেশি সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সফরে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান। তার চমকপ্রদ উপস্থাপনা ও আলোচনায় প্রায় প্রতিটি সফরেই একেকটি খাতের নতুন আঙ্গিক ও আকর্ষণ প্রকাশ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডা, বেজা, মিডা ও পিপিপিএ–সংশ্লিষ্টরা। এতে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

তবে দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশে কতটা এফডিআই আকৃষ্ট হবে, তা সময়সাপেক্ষ বলেই মত প্রকাশ করছেন বিনিয়োগ–সংশ্লিষ্টরা, যার প্রতিফলন রয়েছে সরকারি পরিসংখ্যানে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি বিনিয়োগ ও বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা সেলের (এফআইইডি) প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল–জুন) নিট এফডিআই প্রবাহ ছিল ৩০ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি–মার্চ) নিট এফডিআই প্রবাহ ছিল ৭৮ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এ হিসাবে বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে নিট এফডিআই প্রবাহ কমেছে ৬১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মূলধন (ইকুইটি), পুনর্বিনিয়োগ (রিইনভেস্টেড আর্নিংস) ও আন্তঃপ্রতিষ্ঠান ঋণ (ইন্ট্রাকোম্পানি লোন) সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে এফডিআই প্রবাহের হিসাব প্রকাশ করে। এ তিন উপখাতের সব ক’টিতেই এফডিআই প্রবাহ কমেছে।

অন্যদিকে ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের সঙ্গে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের এফডিআই প্রবাহের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, নিট এফডিআই প্রবাহ বেড়েছে ১১ দশমিক ৪১ শতাংশ। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে বিদ্যমান বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের পুনর্বিনিয়োগ, যা এই এক বছরের ব্যবধানে চলতি বছরের এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে বেড়েছে ৫৯৫ শতাংশের বেশি। একই সময়ে মূলধন বা ইকুইটি কমেছে ৬২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। অর্থাৎ ইকুইটি বা নতুন মূলধন কিংবা পুঁজি বিনিয়োগ কমেছে।

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এফডিআই প্রবাহ প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ৬১ দশমিক ৫৩ শতাংশ হ্রাস প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বিডার মুখপাত্র ও হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নাহিয়ান রহমান রোচি বলেন, “২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বাণিজ্য পরিবেশে এক ধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্য উত্তেজনা, রেড সি ও পানামা খালে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন এবং বিভিন্ন দেশে রপ্তানিমুখী ভর্তুকি ও শুল্কনীতির পরিবর্তন—এসব কারণে বৈশ্বিকভাবে সরবরাহ চেইনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি নতুন দেশীয় বা বৈশ্বিক বিনিয়োগ পরিকল্পনা স্থগিত বা পুনর্মূল্যায়ন করেছে। ফলে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোয়, বিশেষ করে গ্রীনফিল্ড ইকুইটি বিনিয়োগে একটি সাময়িক মন্দা দেখা গেছে।”

সিজনাল বা মৌসুমি প্রভাবের বিষয়টি উল্লেখ করে নাহিয়ান রহমান আরও বলেন, “অনেক সময় বছরের প্রথম প্রান্তিকে নির্দিষ্ট প্রকল্পে এককালীন বড় অঙ্কের ইকুইটি বা ঋণ আসতে পারে, যা পরবর্তী প্রান্তিকে তুলনামূলকভাবে কম দেখায়। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে কমে যাওয়াটা একটি স্বাভাবিক ‘সিজনালিটি ইমপ্যাক্ট’। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের এপ্রিল–জুনেও এ সিজনালিটির প্রভাবে মোট বিনিয়োগ কমেছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ।”

উপরন্তু এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিনিয়োগ প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধির কারণে দ্বিতীয় প্রান্তিকের হ্রাসের হার তুলনামূলক নয় বলেও দাবি করেন তিনি।

২০২৪–এর এপ্রিল–জুনের তুলনায় ২০২৫–এর একই প্রান্তিকে মোট বিনিয়োগ ১১ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাওয়াকে একটি ভালো খবর জানিয়ে নাহিয়ান রহমান বলেন, “এ বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হলো রিইনভেস্টেড আর্নিংস, অর্থাৎ যারা এরই মধ্যে বাংলাদেশে কাজ করছে, তারা তাদের আয় পুনরায় বাংলাদেশেই বিনিয়োগ করেছে। বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী এবং তারা মুনাফা তুলতে না গিয়ে পুনর্বিনিয়োগ করছেন, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিফলন। ইকুইটি এফডিআই ৬২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ কমে যাওয়ার কারণ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। বৈশ্বিক এ চ্যালেঞ্জগুলো মাথায় রেখে এবং অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে বিডা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৩২টি সংস্কার নিয়ে কাজ করছে। যেমন নিয়ন্ত্রক জটিলতা ও নথিপত্রের দীর্ঘসূত্রতা, মুদ্রা বিনিময় ও লভ্যাংশ প্রেরণ–সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা ইত্যাদি।”

বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি এবং বিদ্যুৎ–জ্বালানি খাতে সমস্যার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষাকৃত সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের এফডিআই প্রবাহে। গত বছরের এপ্রিল–জুন প্রান্তিকের তুলনায় এ বছরের একই প্রান্তিকে রিইনভেস্টেড আর্নিংস বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে তারা বলছেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক পর্যন্তও দেশে ডলারের সংকট বেশ তীব্র ছিল। এরপর পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে। তার পরও চলতি বছর বহুজাতিক কোম্পানিগুলো মুনাফার একটি অংশ প্রত্যাবাসন না করে সেটি চলতি মূলধনসহ ব্যবসার প্রয়োজনে ব্যয় করে থাকতে পারে। তাছাড়া ব্যবসার খরচ বাড়ার কারণেও কোম্পানিগুলোর ব্যয় বেড়েছে। সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় কোম্পানিগুলো ব্যাংক থেকে চলতি মূলধনের অর্থ না নিয়ে মুনাফার অর্থ কাজে লাগিয়ে থাকতে পারে। এসব কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর এফডিআই–এর পরিসংখ্যানে রিইনভেস্টেড আর্নিংসের পরিমাণ বেশি দেখা যাচ্ছে।

জাপান–বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) সভাপতি তারেক রফি ভূঁইয়া (জুন) গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা মনে করি বাংলাদেশের প্রতি জাপান ও অন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ এখনো আছে। তারা কিছুটা ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ মনোভাবের মধ্যে রয়েছে। একটা স্থিতিশীল সরকার এলে তারা আরও বিনিয়োগ করবে। এ মুহূর্তে যারা বিনিয়োগ করছে, যেমন চীনা কোম্পানি, তারা ট্যারিফ ইত্যাদির কারণে হয়তো এখনই বিনিয়োগ করছে। কিন্তু যারা অপেক্ষা করতে পারছে, তারা নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করবে। যার প্রতিফলন পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে বলে আমি মনে করি। সম্প্রতি প্রতিনিধি দল নিয়ে জাপানে ঘুরে এসেছি। টোকিও, ওসাকা—দুই জায়গায়ই ১০০ জনেরও বেশি বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণে বড় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সময় বিনিয়োগকারীদের যথেষ্ট আগ্রহ দেখতে পেয়েছি। আসলে বিনিয়োগকারী যে দেশেরই হোক, তারা নীতির স্থিতিশীলতা দেখতে চায়। বর্তমান সরকার যেহেতু অন্তর্বর্তী, তাই বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিনিয়োগের জন্য তারা স্থিতিশীলতাটাই চায়।”

বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তারা দেখছেন বাংলাদেশে তাদের লগ্নি করা অর্থ নিরাপদ ও সুরক্ষিত কিনা। যা লগ্নি হয়েছে, সেই লগ্নি ফিরে আসবে কিনা। ২০২৪ সালের আগেও বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের আগ্রহ বাস্তবায়নে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছিল কিছু প্রতিষ্ঠানকে। একটা পর্যায়ে গত সরকারকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের আভাসও দেওয়া হয়েছিল। কর, নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থাসহ সার্বিক ব্যবসার পরিবেশের সেই প্রতিবন্ধকতাগুলো এখনো কাটেনি বা ক্ষেত্রবিশেষে রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে তারা। মোটা দাগে প্রতিবন্ধকতাগুলো এখনো উপেক্ষিত রয়ে গেছে।

বাংলাদেশ–মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) সভাপতি সাব্বির এ খান গণমাধ্যমকে বলেন, “বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ মালয়েশিয়া। রবি ও ইডটকো—এরাই বড় বিনিয়োগকারী। এ দুই প্রতিষ্ঠান ২০২৪ সাল থেকে বিনিয়োগের জন্য তহবিল প্রস্তুত করে রেখেছে। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে তারা অপেক্ষা করছে বিনিয়োগ পরিবেশ পর্যবেক্ষণে। যখন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন, তখন দেশটির সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বিনিয়োগের মুভমেন্ট এখনো দেখা যাচ্ছে না। আমি মনে করছি, তারা অপেক্ষায় আছে—এটাই মূল কারণ। তারা অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশের অপেক্ষায় আছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এফডিআই বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশে আমূল সংস্কার প্রয়োজন। প্রথমত, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে (এসইজেড) দ্রুত কার্যকর ও পূর্ণরূপে চালু করতে হবে, যাতে বিনিয়োগকারীরা নির্ধারিত সুবিধা ও অবকাঠামো পায়। দ্বিতীয়ত, বাণিজ্য নীতির উদারীকরণ প্রয়োজন, বিশেষ করে আমদানি–রপ্তানির প্রক্রিয়ায় শুল্ক, বাধা এবং অনুমোদন নীতি সরলীকরণ করতে হবে। তৃতীয়ত, ডিরেগুলেশন বা অতিরিক্ত সরকারি নিয়ন্ত্রণ হ্রাস করে একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি কর কাঠামোয় স্বচ্ছতা, চুক্তি বাস্তবায়নে দ্রুততা এবং নীতির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে হবে। উন্নত অবকাঠামো, দক্ষ শ্রমশক্তি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সুযোগ বাড়িয়ে বাংলাদেশকে একটি বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্যে পরিণত করতে পারলেই এফডিআই প্রবাহ আবারও গতিশীল করা সম্ভব হবে।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)–এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান গণমাধ্যমকে বলেন, “চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল–জুন) এফডিআই প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ৬১ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে। এটি একটি গুরুতর সংকেত, যা দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ ও সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এ ধরনের পতন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের পথকে বাধাগ্রস্ত করে। এটি স্পষ্ট করছে যে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে নতুন করে বিনিয়োগ করতে অনিচ্ছুক বা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। যদিও আগের অর্থবছরের এপ্রিল–জুন সময়ের তুলনায় সামগ্রিকভাবে এফডিআই ১১ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে, কিন্তু এ প্রবৃদ্ধির প্রধান উৎস পুনর্বিনিয়োগ।”

নতুন ইকুইটি বিনিয়োগ কমে গেছে ৬২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, যা উদ্বেগজনক—উল্লেখ করে সেলিম রায়হান বলেন, “এটি ইঙ্গিত করে যে পূর্ববর্তী বিনিয়োগকারীরা আংশিক আস্থা রাখলেও নতুন বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ ব্যর্থ হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য শুধু নীতিগত নয়, কাঠামোগত সংস্কারও জরুরি। বাংলাদেশে এখনো অনেক প্রক্রিয়া জটিল, সময়সাপেক্ষ এবং অদক্ষ, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করে।”

শুধু বিদেশি বিনিয়োগকারীরাই নন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, দেশের আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বল অবস্থা, চাঁদাবাজি, প্রশাসনিক জটিলতাসহ নানাবিধ কারণে বড় ধরনের বিনিয়োগের ঝুঁকি নিচ্ছেন না স্থানীয় উদ্যোক্তারাও। তারা বলছেন, সবকিছুর টেকসই সমাধান হবে এমন উচ্চাশা না থাকলেও বিনিয়োগের জন্য তারা নির্বাচনের দিকেই তাকিয়ে আছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন হতে এখনো প্রায় চার মাস বাকি। এ সময়ের মধ্যে দেশে বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটার কোনো আশা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ দেখভাল করা সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)। সংগঠনটির সভাপতি জাভেদ আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এফডিআই হ্রাসের খবর আমাদের সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। এটি আমাদের অর্থনীতির গতিশীলতা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনার জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং সংকেত। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারি নীতিগুলোর আরও স্বচ্ছতা, ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ প্রবণতা পাল্টানো সম্ভব। এফআইসিসিআই বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে সরকারের সঙ্গে কাজ করে এ লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখতে প্রস্তুত, যাতে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে ওঠে।”

সূত্র: বণিক বার্তা

বিডি প্রতিদিন/আশিক

টপিক

এই বিভাগের আরও খবর
সূচক বেড়ে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচক বেড়ে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
‘১৮৫ পোশাক কারখানা বন্ধ, হাজারো শ্রমিক বেকার’
‘১৮৫ পোশাক কারখানা বন্ধ, হাজারো শ্রমিক বেকার’
১১ দিনেই রেমিট্যান্স এলো ১২ হাজার ২৪ কোটি টাকা
১১ দিনেই রেমিট্যান্স এলো ১২ হাজার ২৪ কোটি টাকা
পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন
পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন
সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
পাঁচ বছরে এলপিজির চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে আড়াই মিলিয়ন টন
পাঁচ বছরে এলপিজির চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে আড়াই মিলিয়ন টন
বিশ্বব্যাপী পোরশের বিক্রি কমেছে ৬ শতাংশ
বিশ্বব্যাপী পোরশের বিক্রি কমেছে ৬ শতাংশ
গ্যাস সংকটের কারণে সিরামিকে ৩০০ কোটি টাকা লোকসান করেছি: আকিজ বশির গ্রুপের সিওও
গ্যাস সংকটের কারণে সিরামিকে ৩০০ কোটি টাকা লোকসান করেছি: আকিজ বশির গ্রুপের সিওও
রপ্তানিতে বাড়ছে চ্যালেঞ্জ
রপ্তানিতে বাড়ছে চ্যালেঞ্জ
নেত্রকোনায় কমছেই না সবজির দাম
নেত্রকোনায় কমছেই না সবজির দাম
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
এক অঙ্কের সুদহার চান ব্যবসায়ীরা
এক অঙ্কের সুদহার চান ব্যবসায়ীরা
সর্বশেষ খবর
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে চ্যাম্পিয়ন রংপুর
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে চ্যাম্পিয়ন রংপুর

৫১ সেকেন্ড আগে | কর্পোরেট কর্নার

খাগড়াছড়ি দুর্যোগ প্রশমন দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা
খাগড়াছড়ি দুর্যোগ প্রশমন দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
খাগড়াছড়িতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
গাইবান্ধায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মার্কস অলরাউন্ডার: মৌলভীবাজার, শরীয়তপুরসহ ৯ অঞ্চলে কবে কোথায় প্রতিযোগিতা
মার্কস অলরাউন্ডার: মৌলভীবাজার, শরীয়তপুরসহ ৯ অঞ্চলে কবে কোথায় প্রতিযোগিতা

১৫ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

এমপিত্তভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে কর্মবিরতি
এমপিত্তভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে কর্মবিরতি

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বোয়ালমারীতে মাধ্যমিক স্তরের ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
বোয়ালমারীতে মাধ্যমিক স্তরের ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রায়পুরে মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনায় অভিযান, কারেন্ট জাল জব্দ
রায়পুরে মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনায় অভিযান, কারেন্ট জাল জব্দ

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান
পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান

৪০ মিনিট আগে | রাজনীতি

‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’
‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’

৪৩ মিনিট আগে | শোবিজ

নারায়ণগঞ্জে শিশু নির্যাতন রোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জে শিশু নির্যাতন রোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

৪৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

নতুন কুঁড়ির চূড়ান্ত পর্বের বাছাই শুরু মঙ্গলবার
নতুন কুঁড়ির চূড়ান্ত পর্বের বাছাই শুরু মঙ্গলবার

৪৯ মিনিট আগে | শোবিজ

৬০ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ বিজিবির
৬০ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ বিজিবির

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোলায় পরিবেশ দূষণ রোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আলোচনা
ভোলায় পরিবেশ দূষণ রোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আলোচনা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন
ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প
ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝালকাঠিতে দুদদের গণশুনানি চলছে
ঝালকাঠিতে দুদদের গণশুনানি চলছে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশের ৭৬ শতাংশ নারী জীবনে অন্তত একবার সহিংসতার শিকার
দেশের ৭৬ শতাংশ নারী জীবনে অন্তত একবার সহিংসতার শিকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুর্গাপুরে এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ বসুন্ধরা শুভসংঘের
দুর্গাপুরে এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ বসুন্ধরা শুভসংঘের

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ঘানায় নৌকাডুবিতে ১৫ জনের মৃত্যু
ঘানায় নৌকাডুবিতে ১৫ জনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টরন্টোতে হিমাদ্রি রায়ের একক কবিতা সন্ধ্যা ‘কবিতাস্নাত জীবন’
টরন্টোতে হিমাদ্রি রায়ের একক কবিতা সন্ধ্যা ‘কবিতাস্নাত জীবন’

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

জাবির ২১ নং আবাসিক হলে মধ্যরাতে নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ
জাবির ২১ নং আবাসিক হলে মধ্যরাতে নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি, শহীদ মিনারে অবস্থান
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি, শহীদ মিনারে অবস্থান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুর্যোগ প্রশমন দিবসে নারায়ণগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের সচেতনতামূলক মহড়া
দুর্যোগ প্রশমন দিবসে নারায়ণগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের সচেতনতামূলক মহড়া

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াত
ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে পথকুকুরকে দেওয়া হচ্ছে জলাতঙ্ক টিকা
চাঁদপুরে পথকুকুরকে দেওয়া হচ্ছে জলাতঙ্ক টিকা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা
জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নওগাঁ বসুন্ধরা শুভসংঘের কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত
নওগাঁ বসুন্ধরা শুভসংঘের কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ঠাকুরগাঁওয়ে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
ঠাকুরগাঁওয়ে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে এফডিআই কমেছে ৬১ শতাংশ
এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে এফডিআই কমেছে ৬১ শতাংশ

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ইশরাকের সাথে বিয়ে কবে? ফেসবুক পোস্টে জানালেন নুসরাত নিজেই
ইশরাকের সাথে বিয়ে কবে? ফেসবুক পোস্টে জানালেন নুসরাত নিজেই

২২ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

রান তাড়ায় বিশ্বরেকর্ড গড়ে ভারতকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
রান তাড়ায় বিশ্বরেকর্ড গড়ে ভারতকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৫৮ পাকিস্তানি সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের
৫৮ পাকিস্তানি সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন মন্ত্রণালয়ের তিন সচিবকে বদলি
তিন মন্ত্রণালয়ের তিন সচিবকে বদলি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টারা আখের গুছিয়ে ফেলেছেন কিন্তু শিক্ষকের বেলায় টাকা নেই: সামান্তা
উপদেষ্টারা আখের গুছিয়ে ফেলেছেন কিন্তু শিক্ষকের বেলায় টাকা নেই: সামান্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিন মাসের মধ্যে শামীম ওসমানের ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
তিন মাসের মধ্যে শামীম ওসমানের ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা যুদ্ধ শেষ: ট্রাম্প
গাজা যুদ্ধ শেষ: ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোমবার থেকে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
সোমবার থেকে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের ২৫ সীমান্তপোস্ট দখলের দাবি তালেবানের
পাকিস্তানের ২৫ সীমান্তপোস্ট দখলের দাবি তালেবানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তানের হামলার নিন্দায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি
আফগানিস্তানের হামলার নিন্দায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাক-আফগান সংঘাত, হস্তক্ষেপ করবে সৌদি?
পাক-আফগান সংঘাত, হস্তক্ষেপ করবে সৌদি?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে কাজ করতে গেলেই একটি মহল বাজেট নিয়ে প্রশ্ন তোলে'
'গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে কাজ করতে গেলেই একটি মহল বাজেট নিয়ে প্রশ্ন তোলে'

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিল্মফেয়ারে ইতিহাস গড়লেন আলিয়া ভাট
ফিল্মফেয়ারে ইতিহাস গড়লেন আলিয়া ভাট

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাতের নেপথ্যে কি?
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাতের নেপথ্যে কি?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবি-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ
ঢাবি-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘১৮৫ পোশাক কারখানা বন্ধ, হাজারো শ্রমিক বেকার’
‘১৮৫ পোশাক কারখানা বন্ধ, হাজারো শ্রমিক বেকার’

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাইব্যুনালে হাসিনার মামলা সম্প্রচারকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা : তাজুল ইসলাম
ট্রাইব্যুনালে হাসিনার মামলা সম্প্রচারকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা : তাজুল ইসলাম

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাত, যুবক গ্রেপ্তার
বগুড়ায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাত, যুবক গ্রেপ্তার

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এ বছর ফিল্মফেয়ার জিতলেন যারা
এ বছর ফিল্মফেয়ার জিতলেন যারা

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চার শীর্ষ ধনীর হাতে এখন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী চার মাধ্যম
চার শীর্ষ ধনীর হাতে এখন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী চার মাধ্যম

২১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ তালেবানকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
২০০ তালেবানকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্নীতি ও গাড়িকাণ্ড : ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল বরখাস্ত
দুর্নীতি ও গাড়িকাণ্ড : ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল বরখাস্ত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এশিয়ার প্রথম ব্যাটার হিসেবে যে রেকর্ড গড়লেন বাবর
এশিয়ার প্রথম ব্যাটার হিসেবে যে রেকর্ড গড়লেন বাবর

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডিসেম্বরের মধ্যে ৩ টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে : নৌ সচিব
ডিসেম্বরের মধ্যে ৩ টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে : নৌ সচিব

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিশরে শান্তি সম্মেলনে ট্রাম্পের সাথে থাকছেন যারা
মিশরে শান্তি সম্মেলনে ট্রাম্পের সাথে থাকছেন যারা

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের শান্তি সম্মেলনে থাকছেন না হামাস-ইসরায়েল
ট্রাম্পের শান্তি সম্মেলনে থাকছেন না হামাস-ইসরায়েল

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেটি পেরি ও ট্রুডোর রোমান্স প্রকাশ্যে
কেটি পেরি ও ট্রুডোর রোমান্স প্রকাশ্যে

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রথমদিনে টাইফয়েডের টিকা নিলো ১০ লাখ শিশু
প্রথমদিনে টাইফয়েডের টিকা নিলো ১০ লাখ শিশু

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!

সম্পাদকীয়

রোগীর স্যালাইনে নয়ছয়
রোগীর স্যালাইনে নয়ছয়

পেছনের পৃষ্ঠা

কীভাবে বাঁচবে মা ইলিশ
কীভাবে বাঁচবে মা ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিটিং সার্ভিসে চিটিংবাজি
সিটিং সার্ভিসে চিটিংবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

উপদেষ্টারা আখের গুছিয়ে রেখেছেন
উপদেষ্টারা আখের গুছিয়ে রেখেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে অবশ্যই ট্রাইব্যুনালে আনতে হবে
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে অবশ্যই ট্রাইব্যুনালে আনতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির ছয়, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের একক প্রার্থী
বিএনপির ছয়, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের একক প্রার্থী

নগর জীবন

রাজধানীতে যুবককে গুলি করে বাইক ছিনতাই
রাজধানীতে যুবককে গুলি করে বাইক ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘর থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ঘর থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াতসহ সব দল
ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াতসহ সব দল

নগর জীবন

লুটপাটই যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম
লুটপাটই যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃত্রিম সংকটে বেড়েছে সারের দাম
কৃত্রিম সংকটে বেড়েছে সারের দাম

পেছনের পৃষ্ঠা

ফুট ট্রেইলে ঘুরে ফিরছে বাঘ
ফুট ট্রেইলে ঘুরে ফিরছে বাঘ

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজধানীতে অধিকাংশই ব্যবহার অনুপযোগী
রাজধানীতে অধিকাংশই ব্যবহার অনুপযোগী

প্রথম পৃষ্ঠা

আইডি হ্যাক করে প্রতারণা বাড়ছে
আইডি হ্যাক করে প্রতারণা বাড়ছে

নগর জীবন

অবশেষে জনপ্রশাসনে নতুন সচিব
অবশেষে জনপ্রশাসনে নতুন সচিব

পেছনের পৃষ্ঠা

পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

বান্দরবানে মাইন বিস্ফোরণে বিজিবি সদস্য আহত
বান্দরবানে মাইন বিস্ফোরণে বিজিবি সদস্য আহত

পেছনের পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীর মর্যাদা সুরক্ষায় ন্যায়বিচার জরুরি
সেনাবাহিনীর মর্যাদা সুরক্ষায় ন্যায়বিচার জরুরি

নগর জীবন

আটক যুবকের বাড়িতে আগুন
আটক যুবকের বাড়িতে আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াতসহ সাত দলের স্মারকলিপি
প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াতসহ সাত দলের স্মারকলিপি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট চাইলে মুখের ওপর ইনকাম জানতে চাইবেন
ভোট চাইলে মুখের ওপর ইনকাম জানতে চাইবেন

নগর জীবন

সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বাস্তবায়নে সাবেক শিক্ষার্থীদের ১০ দফা
সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বাস্তবায়নে সাবেক শিক্ষার্থীদের ১০ দফা

খবর

জেলায় জেলায় সীমাহীন দুর্ভোগ
জেলায় জেলায় সীমাহীন দুর্ভোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

দফায় দফায় লাঠিচার্জ
দফায় দফায় লাঠিচার্জ

পেছনের পৃষ্ঠা

থমকে ছিল সিলেট
থমকে ছিল সিলেট

পেছনের পৃষ্ঠা

ইজারায় অনিয়ম, সরকারের ক্ষতি ৩০৯ কোটি টাকা
ইজারায় অনিয়ম, সরকারের ক্ষতি ৩০৯ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

অবরোধ বিক্ষোভে তীব্র যানজট, ভোগান্তি
অবরোধ বিক্ষোভে তীব্র যানজট, ভোগান্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

এখনো সেফ এক্সিট নিয়ে আলোচনা
এখনো সেফ এক্সিট নিয়ে আলোচনা

পেছনের পৃষ্ঠা