জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও উপকূলীয় বন্যার কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় ১৫ লাখ মানুষের ঘরবাড়ি ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়তে পারে। এছাড়া, বাড়তে থাকা তাপমাত্রার ফলে তাপ-সংক্রান্ত অসুস্থতায় মৃত্যুহারও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় জলবায়ু ঝুঁকি মূল্যায়ন বিষয়ক একটি নতুন প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সিডনি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে জনজীবন দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে।
অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস বোয়েন বলেন, ‘আমরা এখন জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে বসবাস করছি। এটি আর কোনো পূর্বাভাস নয়, বাস্তবতা। এর প্রভাব ঠেকাতে পদক্ষেপ নিতে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে।’
সরকারের জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে তৈরি করা এই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত অন্তত ১৫ লাখ মানুষ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও উপকূলীয় বন্যার সরাসরি ঝুঁকিতে পড়বে। ২০৯০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ৩০ লাখে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই পরিস্থিতিতে ঘরবাড়ি ও জীবিকা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে, বিশেষ করে টোরেস স্ট্রেইট দ্বীপপুঞ্জের মতো নিকৃষ্টভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়।
প্রতিবেদনটি এমন সময় প্রকাশ পেল, যখন অস্ট্রেলিয়া সরকার আগামী সপ্তাহে দেশের পরবর্তী ধাপের কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করতে যাচ্ছে। অনেক অস্ট্রেলীয়ই আশা করছেন, এবার সরকার আরও উচ্চাভিলাষী ও কার্যকর উদ্যোগ নেবে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ