ইসরায়েলের কাছে আরও এক বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির মাধ্যমে এক ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করেছে তারা। পরে মরদেহ ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
তবে, গাজায় হামাসের কাছে এখনো ছয়জন ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ রয়ে গেছে।
মরদেহ ফেরত দেওয়ার বিষয়টি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির বড় একটি বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েল অভিযোগ করেছে যে, এখনো সব মরদেহ ফেরত না দিয়ে চুক্তি ভঙ্গ করেছে হামাস।
তবে হামাসের দাবি, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং ইসরায়েলের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারী যন্ত্রপাতি ও বুলডোজার ঢোকানো যাচ্ছে না। এসব কারণে মরদেহ উদ্ধারের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আল জাজিরার সাংবাদিক নূর ওদেহ জানান, বুধবার ফেরত দেওয়া ইসরায়েলি বন্দির মরদেহটি গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলীয় শুজাইয়া এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চার দিন ধরে খোঁজাখুঁজি করে উদ্ধার করেন হামাস যোদ্ধারা।
তিনি বলেন, এই এলাকা কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উদ্ধার কাজে একটি মিসরীয় বিশেষজ্ঞ দলও অংশ নেয়।
ওদেহ আরও জানান, ইসরায়েল স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, সব মরদেহ ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের প্রতিশ্রুতি, বিশেষ করে গাজায় মানবিক সহায়তা অবাধভাবে প্রবেশের অনুমতি বাস্তবায়ন করবে না।
অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেই মধ্য গাজায় দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। যুদ্ধবিরতির সীমারেখা (হলুদ লাইন) অতিক্রম করে ওই দুই ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি অবস্থানের কাছে চলে এসেছিল বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/কেএ