পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর পৃথক তিন অভিযানে অন্তত ১৯ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এ তথ্য জানায়।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর কেপির বিভিন্ন এলাকায় তিনটি পৃথক সংঘর্ষে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সংশ্লিষ্ট ১৯ জনকে হত্যা করা হয়। পাকিস্তান সরকার টিটিপি সদস্যদের ‘ফিতনা আল খারিজ’ এবং বালুচিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ নামে অভিহিত করে থাকে।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ সফল সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের প্রশংসা করেছেন। রেডিও পাকিস্তানের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জারদারি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের সাহসী সেনাদের পেশাদারি ও সাহস দেশের মানুষকে সন্ত্রাসের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করছে। এই অভিযানগুলো ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অটল অবস্থানকে প্রমাণ করে।’
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে যতদিন না এ অভিশাপ পুরোপুরি দেশ থেকে নির্মূল হয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করে খারিজি ও ফিতনা আল হিন্দুস্তানের অপতৎপরতা নস্যাৎ করছেন।’ সাম্প্রতিক সময়ে কেপি ও বালুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার পরিমাণ বেড়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বর টিটিপি সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ওপর হামলা বাড়ানোর হুমকি দেয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কেপির মহমন্দ জেলায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে একটি গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের সময় সেনারা সন্ত্রাসীদের অবস্থানে গুলি চালালে তীব্র গোলাগুলির পর ১৪ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। অন্যদিকে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের দত্তা খেল এলাকায় চালানো আরেক অভিযানে চার সন্ত্রাসী নিহত হয়। এ ছাড়া বান্নু জেলায় আরেক অভিযানে আরো একজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে আইএসপিআরের বিবৃতিতে জানানো হয়। নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
সূত্র: ডন।
বিডি প্রতিদিন/এএম