আকস্মিক বন্যায় ইন্দোনেশিয়ার দুটি প্রদেশে কমপক্ষে ১৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আরো ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। সোমবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাতে পর্যটন দ্বীপ বালি ও পূর্ব নুসা তেংগারা প্রদেশে এই বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। বন্যায় নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দিতে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো। সংবাদ সংস্থা আন্তারা জানিয়েছে, নিখোঁজদের উদ্ধারে এবং যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাদের ত্রাণ-সামগ্রী পৌঁছে দিতেও প্রেসিডেন্ট নির্দেশ দিয়েছেন।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) জানিয়েছে, নিখোঁজদের উদ্ধারে এবং ধ্বংসস্তূপ সরাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০০ থেকে ৬০০ জন কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বেড়ে বালির নয়টি শহর ও জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি গ্রামগুলোর ওপর কাদামাটি, পাথর ও গাছ ভেসে এসেছে। নদীর পানি বেড়ে অন্তত ১২০টি পাড়া প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসও হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বিএনপিবির মুখপাত্র আব্দুল মুহারি। তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, পাঁচ শতাধিক বাসিন্দাকে স্কুল ও মসজিদে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই বন্যা ও ভূমিধস দেখা দেয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝড়-বৃষ্টির ধরনও বদলে গেছে। বর্ষাকালের মেয়াদ ও তীব্রতা বেড়েছে, ফলে বাড়তি বৃষ্টিপাত, আকস্মিক বন্যা ও প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইতে দেখা যায়। চলতি বছরের মার্চে জাভা দ্বীপে বন্যা ও ভূমিধসে তিনজনের প্রাণহানি হয় এবং পাঁচজন নিখোঁজ হন। প্রবল বর্ষণে অন্তত দুই ডজন শহর পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। এর আগে জানুয়ারিতে, মধ্য জাভায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ২৫ জন।
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স।
বিডি প্রতিদিন/এএম