এশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানি পরিচালিত বিলাসবহুল চিড়িয়াখানা ‘বনতারা’ এবার তদন্তের মুখে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন, অবৈধ প্রাণী সংগ্রহ, আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করা হয়েছে।
গত মার্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ‘বনতারা’র উদ্বোধন করেছিলেন। সে সময় তিনি উদ্যোগটিকে ‘সত্যিই প্রশংসনীয়’ বলে অভিহিত করেন। কিন্তু উদ্বোধনের কয়েক মাসের মধ্যেই অভিযোগের তীরে ঘিরে ফেলেছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় বেসরকারি এই চিড়িয়াখানাটিকে।
প্রায় ২ হাজার প্রজাতির প্রাণী রাখা হয়েছে বনতারায়। এর মধ্যে রয়েছে ২০০ হাতি, প্রায় ৩০০ বড় শিকারি প্রাণী—চিতাবাঘ, সিংহ ও বাঘ মিলিয়ে।এবং ১ হাজার ২০০টিরও বেশি সরীসৃপও আছে। তবে জনসাধারণের জন্য এই চিড়িয়াখানাটি উন্মুক্ত নয়। শুরু থেকেই প্রাণী সংরক্ষণবাদীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
তদন্ত নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, অভিযোগগুলোর পক্ষে এখনও প্রমাণ মেলেনি। তবে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলেই এই তদন্ত শুরু করা হলো। চারজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত এসআইটিকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি বনতারা কর্তৃপক্ষ। তবে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইনের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য বজায় রাখতে বনতারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রাণীদের উদ্ধার, পুনর্বাসন ও পরিচর্যাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, গত বছর অনন্ত আম্বানির জমকালো প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজনস্থলও ছিল এই ‘বনতারা’। আম্বানিদের তেল পরিশোধনাগারের সংলগ্ন জমিতে নির্মিত এই চিড়িয়াখানাকে কেন্দ্র করে এখন দেশজুড়ে তুমুল আলোচনা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল