ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে মিয়ানমারের ছয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। গ্রেফতারের সময় তাদের কারো কাছে ভারতে প্রবেশের কোনো বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না। তবে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ভারতীয় আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও পুলিশের ধারণা সেগুলো সবই ভুয়া।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালের দিকে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি দিয়ে নেপাল প্রবেশের চেষ্টা করছিল ৬ মিয়ানমার নাগরিক। এসময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ির খড়িবাড়ির পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ‘সশস্ত্র সীমা বল’ (এসএসবি)। আটককৃত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে পাঁচজন পুরুষ ও একজন নারী।
এসএসবি সূত্রে খবর, নেপাল যাওয়ার সময় এসএসবির সন্দেহ হলে প্রথমে তিনজন ও পরে আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অসঙ্গতি পায় জওয়ানরা। একপর্যায়ে তাদের কাছে থাকা ভারতীয় আধার কার্ড দেখালে সন্দেহ আরও গভীর হয়। পরে তারা সকলেই মিয়ানমারের নাগরিক বলে স্বীকার করে।
অন্যদিকে, অবৈধ অনুপ্রবেশে অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চার বাংলাদেশিকে। এর মধ্যে এক নারীও আছে। তাদের অনুপ্রবেশে সহায়তার অভিযোগে এক ভারতীয় দালালকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় দালাল চক্রের মধ্যে দিয়ে ওই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা অবৈধভাবে ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। এরপর ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগেই শনিবার নদীয়ার ধানতলা থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে ওই ৪ বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয় দালালকে গ্রেফতার করে।
আটককৃত চার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী-দুলাল শিকদার, তাপস সরকার, জয় দাস, মুন্নি হাওলাদার এবং ভারতীয় দালাল রুবেল মন্ডলের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার তাদের রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
এর পাশাপাশি রাজ্যটির উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত গুন্ডরাজপুর গ্রাম থেকে দুই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে আল-আমিন হোসেন মোড়ল ও আবু রায়হান মোড়লকে গ্রেফতার করে। তারা উভয়ই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। রবিবার তাদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই