কাশ্মীরের পাহেলগাঁওতে পর্যটক হত্যাকাণ্ডের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে সংযত থাকার বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স পাহেলগাঁও হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং ভারতকে আঞ্চলিক সংঘাত এড়াতে সতর্ক করেছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভান্স বলেন, আমরা আশা করি, ভারত এই সন্ত্রাসী হামলার জবাব এমনভাবে দেবে, যাতে বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের সৃষ্টি না হয়।
তবে ভান্স পাহেলগাঁও কাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের সঙ্গেই তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, দুই নেতাকেই আমি দীর্ঘ দিন ধরে চিনি। আপনারা জানেন, আমি ভারতের খুব কাছের। আমি পাকিস্তানেরও খুব কাছের।
পাহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনা প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও বুধবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে ফোন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সংঘাতমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। তবে রুবিও সরাসরি হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেননি।
এদিকে ভারত ও পাকিস্তান কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে ইতোমধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। নিয়ন্ত্রণ রেখায় টানা আট দিন ধরে গুলিবর্ষণ চলছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় সেনাকে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।
দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত ওয়াশিংটন চায় না। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র নয়াদিল্লির ‘আত্মরক্ষার অধিকার’কে সমর্থন করলেও সংঘাতের এই পরিস্থিতিতে ‘নিরপেক্ষ অবস্থান’ নেবে। ভান্সের বক্তব্যেও একই সুর শোনা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল