রাজধানীর ভাটারা থেকে ফেমডম সেশনের নামে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি প্রচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা হলেন শিখা আক্তার ছদ্মনাম ফারহানা মিলি (২৫) ও সুইটি আক্তার জারা ছদ্মনাম মিস্ট্রেস জেরি (২৫)। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল ওয়াহাব।
এর আগে ওই দুই নারীকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই ইকবাল হোসেন কারাগারে রাখার আবেদন করেন। জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার এজাহারে বাদী মো. আবদুল্লাহ উল্লেখ করেন, গত বুধবার ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্টে দেখেন পুরুষদের উলঙ্গ করে শারীরিক নির্যাতন ও বিকৃত যৌনাচারের ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। এ কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিরা টেলিগ্রাম ও অন্যান্য সমাজমাধ্যমে এসব ভিডিও ছড়িয়ে দেন। জড়িত নারীরা নিজেদের ‘মিসট্রেস’ হিসেবে পরিচয় দেন এবং মিস্ট্রেসদের ‘ফেমডম সেশন’ যেসব পুরুষ নিয়ে থাকেন তাদের ‘স্লেভ’ বলেন। পুরুষরা টাকার বিনিময়ে ওই নারীদের কাছে নির্যাতিত হতে আগ্রহী হন, যা ‘ফেমডম সেশন’ নামে পরিচিত। ফারজানা মিলি নামে একজনের সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করেন আবদুল্লাহ এবং তাদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৫০০ টাকা পাঠান।
পরবর্তী সময়ে তাকে ভাটারার একটি বাসায় যেতে বলা হয়। আবদুল্লাহ সে বাসায় যান। গিয়ে দেখতে পান, শিখা আক্তার, সুইটি আক্তারসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন একজন পুরুষকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতন করছেন এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছেন। এ ঘটনায় আবদুল্লাহ ভাটারা থানায় মামলা করেন। বৃহস্পতিবার বিকালে ওই দুই নারীকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহৃত একটি চাবুক, পরিধেয় বিশেষ পোশাক, হাই হিল, বুট জুতা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।