গোড়ালির চোটের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। চোটের কারণে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজেও খেলতে পারেননি তিনি। এমনকি শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, এই ব্যস্ত ক্রিকেট মৌসুমে আরও দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে তাকে। তবে সেই শঙ্কা আপাতত কেটে গেছে। ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে সুখবরটি দিয়েছেন তাসকিন নিজেই।
চোটের প্রকৃত অবস্থা জানতে গত রোববার ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তাসকিন। সেখানে ২৯ ও ৩০ এপ্রিল তিনি দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। এরপর ১ মে আরও একজন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেন এই ডানহাতি পেসার।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন, তিন চিকিৎসকই অস্ত্রোপচার না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
ডা. দেবাশীষ বলেন, আপাতত রিহ্যাব প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাসকিনের চিকিৎসা চলবে। তবে এই রিহ্যাব কতদিন চলবে, তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তার বাম পায়ের গোড়ালিতে হাড়ের অস্বাভাবিক একটি বৃদ্ধি পাওয়া গেছে, যা পুরোপুরি দূর করা সম্ভব নয়। তবে এটিকে সহনীয় পর্যায়ে রেখে মাঠে ফেরা সম্ভব বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তাসকিন নিজেও দেশ ছাড়ার আগে ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আমি কিছুটা গোড়ালির ব্যথায় ভুগছিলাম, তাই বিসিবি আমাকে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে বিশ্রাম দিয়েছে এবং একজন বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাচ্ছে। বিসিবিকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ। ইনশাআল্লাহ, আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব! আমাকে দোয়ায় রাখবেন।’
ভক্ত-সমর্থকদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে স্বস্তির খবর। মাঠে তাসকিনের ফিরে আসার অপেক্ষায় এখন গোটা ক্রিকেটপ্রেমী জাতি।
২০১৪ সালে অভিষেকের পর থেকে তাসকিন আহমেদ বাংলাদেশ দলের নিয়মিত একজন সদস্য। শেষ কয়েক বছরে তার দারুণ ফর্ম বাংলাদেশকে বহু সাফল্য এনে দিয়েছে। ৩০ বছর বয়সী এই পেসার বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটেই খেলেছেন বেশি। ৭৯ ওয়ানডেতে ১১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি, ফাইফার আছে ২টি, ওয়ানডে অভিষেকে ভারতের বিপক্ষে পাওয়া ২৮ রানে ৫ উইকেট এখনও তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।
৭৩ টি-টোয়েন্টিতে তিনি শিকার করেছেন ৮২ উইকেট। টেস্টে শেষ কিছু দিনে ছিলেন দারুণ ছন্দে। লাল বলে উইন্ডিজের বিপক্ষে সব শেষ সিরিজে ১১ উইকেট নিয়ে বনেছিলেন সিরিজ-সেরা। সব মিলিয়ে ১৭ ম্যাচে ৪৯ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম