গাজায় বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে, আর প্রতিদিনই বাড়ছে নারী ও শিশুদের হতাহতের সংখ্যা। সম্প্রতি চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর ৩৬টি হামলা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এসব হামলার অধিকাংশই নারী ও শিশুদের টার্গেট করে করা হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতরের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় আবাসিক ভবন ও শরণার্থী তাঁবুগুলোতে কমপক্ষে ২২৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, “গাজাজুড়ে চালানো সামরিক অভিযান পরিস্থিতিকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যেখানে কেউই আর নিরাপদ নয়।”
শামদাসানি জানান, গাজার সাধারণ মানুষকে ক্রমাগত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় নিহতদের একটি বড় অংশই শিশু ও নারী।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন দেইর আল বালাহ শহরে ৬ এপ্রিলের একটি হামলার ঘটনা, যেখানে আবু ইসা পরিবারের এক শিশু, চার নারী এবং একটি চার বছর বয়সি ছেলে নিহত হয়েছে।
শামদাসানি জানান, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্দেশে বহু বেসামরিক মানুষ খান ইউনিসের আল মাওয়াসি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সেই এলাকাতেও হামলা থেমে নেই। ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে অন্তত ২৩টি হামলার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৩১ মার্চ ইসরাইল গাজার প্রাণকেন্দ্র রাফাহতে বড় পরিসরের স্থল অভিযান শুরু করেছে। এই ধরনের জোরপূর্বক বাস্তচ্যুতি চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল বলে জাতিসংঘ তা নিন্দা জানাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম