বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু নির্বাণ করল চীন। একটি বিশাল গিরিখাতজুড়ে দুই মাইল বিস্তৃত সেতুটি। আগামী জুনে হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন নামের সেতুটি উদ্বোধন করবে চীনা কর্তৃপক্ষ।
২১৬ মিলিয়ন পাউন্ড খরচে তৈরি সেতুটি চালু হলে এক ঘণ্টার যাত্রাপথ অতিক্রম করা যাবে মাত্র এক মিনিটে। আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ২০০ মিটারেরও বেশি উঁচু এবং তিনগুণ বেশি ওজনের এই সেতুটি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি অনন্য নিদর্শন।
চীনা রাজনীতিবিদ ঝাং শেংলিন বলেন, “এই সুপার প্রকল্পটি চীনের প্রকৌশলগত সক্ষমতা প্রদর্শন করবে এবং গুইঝোর বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হয়ে ওঠার লক্ষ্যকে আরও জোরদার করবে।”
সেতুটির স্টিলের ট্রাসগুলোর ওজন প্রায় ২২ হাজার মেট্রিক টন, যা তিনটি আইফেল টাওয়ারের সমতুল্য। মাত্র দুই মাসের মধ্যে এগুলো স্থাপন করা হয়েছে। সেতুটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধান প্রকৌশলী লি ঝাও। তিনি বলেন, “আমরা সেতুটিকে তিলে তিলে তৈরি হতে দেখেছি। অবশেষে বিশাল গিরিখাতের উপরে এটি দাঁড়িয়ে রয়েছে- যা দেখে আমাদের মনে গর্বের অনুভূতি জাগে।”
চীনের প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন সংযোগ প্রদানের পাশাপাশি, নতুন সেতুটি পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পরিকল্পনাকারীরা এরইমধ্যে সেতুটিতে বসবাসের জায়গা, কাচের হাঁটার পথ এবং বিশ্বের ‘সর্বোচ্চ বাঞ্জি জাম্প’-এর পরিকল্পনাও উন্মোচন করেছেন। সেতুটি আরও বেশি চিত্তাকর্ষক, কারণ এটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে গিরিখাতের উপরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। চীনের যে অঞ্চলে এই সেতুটি নির্মিত হচ্ছে, সেখানে বিশ্বের ১০০টি উঁচু সেতুর প্রায় অর্ধেকই রয়েছে। এগুলো গ্রামীণ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করে। ২০১৬ সালে চীনের সর্বোচ্চ সেতুটি বেইপানজিয়াংয়ে নির্মিত হয়েছিল, যার উচ্চতা ছিল ১,৮৫৪ ফুট। সূত্র: এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/একেএ