ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত টানা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, নিজস্ব তত্ত্বাবধানে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ জরুরি নাগরিক সেবা চালু থাকবে। উন্নয়ন কাজসহ বাকি সব সেবা বন্ধ থাকবে। গতকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে এসে এসব কথা বলেন ইশরাক। তিনি বলেন, প্রধান ফটকের তালা খোলা হবে না। এটা আন্দোলনের প্রতীক। জনগণের দৈনন্দিন সেবা আমাদের তত্ত্বাবধানে চালু থাকবে।
মেয়র পদে বসানোর বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ইশরাক। তিনি বলেন, গায়ের জোরে নয়, সাংবিধানিকভাবে ও জনগণের ভোটে আমি বৈধ মেয়র। ভবিষ্যতে সরকারের বিরুদ্ধে আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠবে। তাই সরকারকে বলব, দ্রুত এ বিষয়ের সমাধান করুন।
নগর ভবনের নিচতলার শীতলক্ষ্যা সভাকক্ষে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বৈঠক করেন ইশরাক। জরুরি নাগরিক সেবা কার্যক্রম কীভাবে চালিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়টি সুরাহা করতে ওই বৈঠক করা হয় বলে জানান ইশরাকের ঘনিষ্ঠজনরা। তারা জানান, বৈঠকে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, মশার ওষুধ স্প্রে, বর্জ্যসহ সব ধরনের জরুরি সেবা কার্যক্রম চলবে। তবে উন্নয়নমূলক কাজ চলবে না। কোনো বিভাগ খোলা থাকবে বা থাকবে না এটা চূড়ান্ত হয়নি। সোম বা মঙ্গলবার চূড়ান্ত হতে পারে। এ বিষয়ে ইশরাক শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মিটিং করে চূড়ান্ত করবেন। ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে গত ১৪ মে ঢাকাবাসীর ব্যানারে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন শুরু করেন তার সমর্থকরা। ঈদের আগে বিরতি দিয়ে ১৮ দিন কর্মসূচি পালন করেন তারা। ঈদের ছুটি শেষে গতকাল প্রথম কর্মদিবসে ইশরাকের সমর্থকরা আবার নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি শুরু করলেন। সকাল ১০টার দিকে তারা নগর ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন ইশরাক। গতকালও সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ ছিল। নগর ভবনের সব ফটকে এখনো তালা ঝুলছে।